রাজনীতি

ইকুয়েডরের টিভি স্টেশনে হামলা

সশন্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকারের যুদ্ধ ঘোষণা

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫২, ১০ জানুয়ারি ২০২৪;  আপডেট: ০৯:৪৪, ১১ জানুয়ারি ২০২৪

ইকুয়েডরের টিভি স্টেশনে হামলা

রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর ইকুয়েডরে সেনাবাহিনী মোতয়েন করা হয়। ছবি : সিএনএন।

ইকুয়েডর থেকে সব সন্ত্রাসী দলগুলোকে নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নবুয়া। গতকাল মঙ্গলবার একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেশটির একটি টিভি স্টেশনে হামলা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট। দেশটিতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা চলাকালীন গতকাল হামলার এ ঘটনা ঘটলো।

গতকাল মুখোশ পড়া কিছু বন্দুকধারী হঠাৎ করেই সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টিসি’র ভবনে ঢুকে পড়ে। এ সময় সরাসরি সম্প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানের সেটে গিয়ে তারা সেখানকার কর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় ওই টিভি চ্যানেলের দু’জন কর্মী আহত হয়।

এর আগে গত সোমবার ইকুয়েডরে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। তখন থেকে এ পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মূলত ইকুয়েডরের কারাগার থেকে দেশটির ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাসী নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গতকালের এ হামলা ওই সন্ত্রাসীর নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা, এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি।

তবে গতকালের হামলার এ ঘটনার পর পরই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নবুয়া। বর্তমান পরিস্থিতিকে তিনি ‘আভ্যন্তরীণ সশন্ত্র সংঘাত’ উল্লেখ করে এসব সন্ত্রাসী দলগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সেনা অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে  এসব সন্ত্রাসী দলকে ‘জঙ্গি গোষ্ঠী’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ইকুয়েডরের কারাগারের ভেতরে ও বাইরে শুরু হওয়া এ সহিংসতার সঙ্গে দেশটির বৃহৎ মাদক চোরাকারবারি দলের সম্পর্ক রয়েছে। কারণ দেশটি মাদক চোরাচালানের বড় একটি কেন্দ্র যেখান থেকে দেশ ও বিদেশে মাদক পাচার করা হয়।

এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশ করা কোকেনের চালানও এ দেশটির মাদক চোরাকারবারিদের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয়।

সূত্র : বিবিসি।