নভেম্বরে ইউরোপের বাজারে আসতে পারে সোলার কার
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২:২১, ১৭ জুন ২০২২; আপডেট: ০১:২৫, ২৯ অক্টোবর ২০২২
লাইটইয়ারের এই গাড়ির দামও হতে যাচ্ছে বেশ চড়া।
নভেম্বরে ইউরোপের বাজারে সৌরশক্তি চালিত গাড়ি আনার ঘোষণা দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লাইটইয়ার। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিশ্বের প্রথম সৌরপ্যানেলযুক্ত গাড়ি বাজারে সহজলভ্য করতে খুব শিগগিরই তারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এর উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে।
বলা হচ্ছে, ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হওয়ার পর 'লাইটইয়ার জিরো' মডেলের এ গাড়িটি ৩৮৮ মাইল দূরত্ব পাড়ি দিতে পারবে। তবে সৌরপ্যানেল থেকে বাড়তি ৪৪ মাইল পথ চলার মতো শক্তি কাজে লাগানো যাবে। পার্কিংয়ে থাকা বা চলন্ত অবস্থাতেও গাড়িটি সৌরপ্যানেল কাজে লাগিয়ে এর মধ্যে থাকা বৈদ্যুতিক ব্যাটারি রিচার্জ করতে পারবে। সূর্যের আলোতে এক ঘণ্টা চার্জের বিপরীতে গাড়ির ব্যাটারিতে ৬ মাইল চলার মতো শক্তি জমা হবে।
লাইটইয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই প্রযুক্তি চার্জিং পয়েন্টে ব্যয় করা সময়ের পরিমাণ বহুলাংশে কমিয়ে আনবে। তারা একটি তুলনা দিয়ে বলেছে, স্পেন বা পর্তুগালের মতো গরম দেশগুলোতে প্রতিদিন যদি ২২ মাইলের কম পথ যাতায়াতের দরকার হয়, তাহলে একবার পুরো চার্জ করার পর পরবর্তী ৭ মাস পর্যন্ত আর ব্যাটারি চার্জ করতে হবে না। নেদারল্যান্ডসের মতো ঠাণ্ডা আবহাওয়ার দেশগুলোর ক্ষেত্রে হয়তো ২ মাস পরপর চার্জ দিতে হবে। অর্থাৎ চার্জ করার ঝামেলা ছাড়াই এই গাড়ি নিয়ে চলাচল করা যাবে দীর্ঘ সময় ধরে।
প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, সৌর প্রযুক্তি কাজে লাগানোর কারণে গাড়িতে ব্যবহার করা ব্যাটারির আকার ও ওজন অনেক কম হবে। এ কারণে গাড়ির মোট ওজনও অনেক কমবে। তারা তাদের এই গাড়ির ওজন ১,৫৭৫ কেজিতে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সমকক্ষ অন্য গাড়িগুলোর ওজন এরচেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।
লাইটইয়ারের এই গাড়ির দামও অবশ্য হতে যাচ্ছে বেশ চড়া। তাদের প্রথম মডেল যেটি বাজারে আসবে, সেটির দাম পড়বে ২৬২,০০০ ডলার (২৫০,০০০ ইউরো)। এই দাম ফেরারি রোমার চেয়ে কিছু বেশি। সমকক্ষ মডেল নিশান লিফের দাম ২৭,০০০ ডলার এবং টেসলা মডেল থ্রি-এর দাম ৫০,০০০ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য আশা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তারা সর্বসাধারণের আওতার মধ্যে নতুন মডেল বাজারে আনবে। আপাতত ওই মডেলটিকে তারা বলছে 'লাইটইয়ার টু' যার দাম পড়বে আনুমানিক ৩১,২১৫ ডলার (৩০,০০০ ইউরো)।
আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একই রকম প্রযুক্তির গাড়ি বাজারে আনার চেষ্টা করছে। তবে, এজন্য তারা এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। ওইসব প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের আগে তাদের গাড়ি বাজারে আনতে পারবে না বলে বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সূত্র : সিএনএন।