শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করলো অস্ট্রেলিয়া
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৭, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
বিভিন্ন দেশ শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপের উদ্যোগ নিলেও অস্ট্রেলিয়ার এ নীতিমালা বর্তমানে সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত বিলটি আইন আকারে পাস করেছে। নতুন এ আইনে দেশটির ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য এ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার সংসদে এ বিলটি পাস হয়।
এতে মেটা, এক্স এবং টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোতে যাতে কম বয়সীরা নিজস্ব অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে এসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার জরিমানা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
একইসঙ্গে, এ ব্যবস্থায় প্ল্যাটফর্মগুলোকে সরকারি সেবা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীকে সরকারি আইডি বা ডিজিটাল পরিচয়পত্রের জন্য বাধ্য করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। তবে, এজন্য কম বয়সী ব্যবহারকারী ও তাদের মা-বাবাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে না।
অস্ট্রেলিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষে পরশু বুধবার এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইন পাস হয়। আর, গতকাল তা পাস করে সংসদের উচ্চ কক্ষ বা সিনেট। দেশটির সব প্রধান দলই আইনটির বিষয়ে তাদের সম্মতি দিয়েছে। তবে, বিরোধী দলের কিছু সংশোধনীর প্রস্তাবও পরবর্তীতে আইনটিতে যোগ করা হবে বলে জানা গেছে।
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এ আইনটি প্রয়োগের প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পর এক বছরের মধ্যেই তা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিস এ বিষয়ে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার তরুণ সমাজের উচিত তাদের ফোনটি বন্ধ করা এবং ক্রিকেটের মাঠ, টেনিসের কোর্ট ও সুইমিং পুলে ফিরে যাওয়া।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্পেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর বয়স ১৬ বছরের কম হতে পারবে না বলে একটি প্রস্তাব পাস করে। এর আগে দেশটিতে এক্ষেত্রে বয়সসীমা ছিলো অনুর্ধ্ব ১৪ বছর।
এছাড়া, গত বছর ফ্রান্সেও ১৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়। অন্যদিকে, প্রায় এক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৩ বছরের কম বয়সীদের মা-বাবার অনুমতি ছাড়া এ ধরনের মাধ্যম ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলে আসছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।