ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি বুঝতে বিশেষায়িত স্যাটেলাইট পাঠালো নাসা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২:৫৪, ৮ মে ২০২৩
নিউজিল্যান্ডের মাহাইয়ে অবস্থিত উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইট দুটি পাঠানো হয়।
পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে আজ সোমবার দুটি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। হ্যারিকেন ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি আরও ভালো করে জানতে স্যাটেলাইট দুটি পাঠানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি আরও ভালো করে জানতে নাসা নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় মহাকাশে বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট পাঠাবে প্রতিষ্ঠানটি। এসব স্যাটেলাইট নানা রকমের ঘূর্ণিঝড়ের উৎস ও গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। ট্রপিকস (টাইম-রিজলভড অবজারভেশনস অব প্রিসিপিটেশন স্ট্রাকচার অ্যান্ড স্টর্ম ইনটেনসিটি উইথ আ কনস্টেলেশন অব স্মলস্যাটস) শীর্ষক এ প্রকল্পের প্রথম ধাপে কিউবস্যাটস নামের ছোট এ দুটি স্যাটেলাইট আজ মহাকাশে পাঠালো নাসা।
নিউজিল্যান্ডের মাহাইয়ে অবস্থিত উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইট দুটি পাঠানো হয়। রকেট ল্যাব নামের প্রতিষ্ঠানের বানানো রকেটের সাহায্যে স্যাটেলাইট দুটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
একই রকম মোট চারটি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর মধ্য দিয়ে এ প্রকল্প (ট্রপিকস) সম্পন্ন হবে। এরপর এ চারটি স্যাটেলাইট একসঙ্গে একটি গুচ্ছ তৈরি করবে। ঘূর্ণিঝড় পর্যবেক্ষণের জন্য এ স্যাটেলাইটগুলোকে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। ফলে মহাকাশে থাকা অন্য যেসব স্যাটেলাইট ব্যবহার করে পৃথিবীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, সেগুলোর চেয়ে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে এ কাজটি করতে পারবে নতুন এসব স্যাটেলাইট। পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এসব স্যাটেলাইট পৃথিবীতে বিস্তারিত তথ্যও পাঠাবে। আর এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে ভবিষ্যতে আরও নির্ভুল তথ্য আরও দ্রুততার সঙ্গে দিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কিউবস্যাটসের দ্বিতীয় সেট কক্ষপথে পাঠানোর কথা রয়েছে। সেগুলোও একই স্থান থেকে এবং একই প্রক্রিয়ায় উৎক্ষেপন করা হবে বলে নাসা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে বিশ্বজুড়েই বছরের বেশিরভাগ সময় চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ অবস্থায় হ্যারিকেন ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দিন দিনই মানুষের জীবনের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে।
এ অবস্থায় মূলত কী কারণে এতো দ্রুততার সঙ্গে এসব ঝড়ের গঠনগত পরিবর্তন হচ্ছে এবং এসবের আঘাতের তীব্রতা বাড়ছে, ট্রপিকস প্রকল্পের মধ্য দিয়ে এ বিষয়ে আরও স্পষ্টভাবে জানা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।