রাজনীতি

ইকুয়েডরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো মেক্সিকো

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:০৯, ৬ এপ্রিল ২০২৪;  আপডেট: ২২:১৪, ৬ এপ্রিল ২০২৪

ইকুয়েডরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো মেক্সিকো

ইকুয়েডরের পুলিশ জোরপূর্বক মেক্সিকো দূতাবাসে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটি।

ইকুয়েডরের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মেক্সিকো। গতকাল শুক্রবার ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে অবস্থিত মেক্সিকো দূতাবাসে ইকুয়েডরের পুলিশ অভিযান চালায়। ইকুয়েডরের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট হোর্হে গ্লেসকে গ্রেফতারে এ অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনার পর আজ শনিবার দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় মেক্সিকো।

তারা জোরপূর্বক দূতাবাসে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আইন অমান্য এবং মেক্সিকোর সার্বভৌমত্মকে অস্বীকার করেছে।’

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ইকুয়েডরের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট বর্তমানে একজন শরণার্থী ও মেক্সিকোতে তার আশ্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কারণ ইকুয়েডরে তিনি বিচার ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।’

এ অবস্থায় পরিস্থিতি সূক্ষভাবে পর্যালোচনার পরই তারা গ্লেসকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে শুক্রবার মেক্সিকোর তরফ থেকে জানানো হয়েছিলো।

তবে তাদের এ উদ্যোগ বেআইনি বলে অভিযোগ করে ইকুয়েডর। এ বিষয়ে দেশটির সরকারের তরফ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইকুয়েডর একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং আমরা কোনো অপরাধীকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দিতে পারিনা।’

ইকুয়েডরের বিচার বিভাগ গ্লেসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে উল্লেখ করে বিবৃবিতে আরও বলা হয়, ‘এ কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য,গত ডিসেম্বরে গ্লেসকে মেক্সিকোর দূতাবাসে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া হয়। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ইকুয়েডর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে তিনি মেক্সিকোর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।

এদিকে, গ্লেস নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী।

২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইকুয়েডরের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হোর্হে গ্লেস। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ উঠলে গ্লেসকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় ইকুয়েডর সরকার।

সূত্র : বিবিসি।