রাজনীতি

নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ২২ জানুয়ারি ২০২৩

নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স

ক্রিস হিপকিন্স।

নিউজিল্যান্ডের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। গতকাল শনিবার একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি এ পদের জন্য মনোনয়ন দেন। আজ রবিবার তার দল লেবার পার্টির পক্ষ থেকে সমর্থন পাওয়ার পর বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ফলে এখন ক্রিস হিপকিন্সের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেসিন্ডা আরডার্নের স্থলাষিভিক্ত হওয়াটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এ বিষয়ে হিপকিন্স বলেন, ‘এটা আমার জন্য বিশেষ একটি দিন। আমি খুবই আনন্দিত। এটি একই সঙ্গে আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ এবং অনেক বিশাল দায়িত্বও বটে।’

গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেসিন্ডা আরডার্ন। গত প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা জনপ্রিয় এ নেতার  হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই হতবাক করেছে তার দেশের জনগণকে।

মাত্র ৩৭ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসা আরডার্ন দেশটিতে সংঘটিত গণহত্যা ও কোভিড - ১৯ মহামারির মতো বিপর্যয় সফলভাবে মোকাবেলা করে সারা বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হন।

কিন্তু একইসঙ্গে তিনি নিজ দেশেই ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক চাপের মধ্যে পড়েন, যা নিউজিল্যান্ডের আর অন্যান্য নেতার ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। প্রায় সময়েই তিনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার হুমকী পাওয়াসহ নারী বিদ্বেষীদের রোষের শিকার হয়েছেন।   

এ অবস্থায় নিজের আবেগ সংবরণ করে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করবেন বলে গত বৃহস্পতিবার আরডার্ন ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি এ কাজের জন্য কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। একইসঙ্গে আমি এটাও জানি যে আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছি এবং এখন আর আমার দেওয়ার মতো কিছু নেই।’  

নিউজিল্যান্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেসিন্ডা আরডার্ন।

এদিকে নতুন দায়িত্ব নিতে যাওয়া হিপকিন্স সাবেক হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে বলেন,‘জেসিন্ডা আরডার্ন ছিলেন নিউজিল্যান্ডের জন্য একজন অসাধারণ প্রেসিডেন্ট। তিনি এমন সময়ে দেশের হাল ধরেন, যখন আমাদের তার মতো একজন নেতার খুব প্রয়োজন ছিলো।’

উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে হিপকিন্স মাত্র আট মাস দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর তাকে নিজ দল লেবার পার্টির পক্ষে দেশটির বিরোধী কনজারভেটিভ ন্যাশনাল পার্টির বিপক্ষে লড়তে হবে।

করোনা ভাইরাস মহামারির সময় সঙ্গকটকালীন সুব্যবস্থাপনার জন্য জনগণের নজরে আসেন হিপকিন্স। তবে এর আগে সারা বিশ্বে নেতৃত্বের আইকনে পরিণত হওয়া আরডার্নের অভিনব নেতৃত্বগুণের কারণে হিপকিন্সসহ উদারপন্থী প্রায় সব নেতাই এতাদিন পর্দার আড়ালে পরে ছিলেন।

সূত্র : অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)