রাজনীতি

ইউক্রেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার ড্রোন হামলা

প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বাসিন্দাদের ভোগান্তির শঙ্কা

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫;  আপডেট: ২২:০১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইউক্রেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার ড্রোন হামলা

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা। ছবি : আল-জাজিরা।

ইউক্রেনের দক্ষিণের মাইকোলেইভে অবস্থিত একটি থার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গত শনিবার রাতব্যাপী চালানো এ হামলায় এ পর্যন্ত একজন আহত হয়েছে। এদিকে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ওই এলাকার প্রায় ৪৬ হাজার বাসিন্দার ভোগান্তি চরমে পৌঁছানোর আশঙ্কা করছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী দেনিস মিহাল।

টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্য এবং মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরির জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।’ 

এদিকে, এ হামলার প্রভাব ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কারণ, এ হামলার কারণে বর্তমানে শহরের ১ লাখ মানুষ প্রয়োজনীয় শীত নিবারণী তাপমাত্রা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের খুবই সাধারণ একটি শহর। জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় খুব সাধারণ একটি অবকাঠামো। এর সঙ্গে যুদ্ধ বা শত্রুতার কোনো সম্পর্ক নেই। ফলে, এ থেকে এটা খুবই স্পষ্ট যে, রাশিয়া আবারও ইচ্ছাকৃতভাবে এ হামলা চালিয়েছে শুধুমাত্র আমার দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে কষ্ট বাড়ানোর জন্য।’ 

এ অবস্থায় কর্মীরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আবার চালু করতে দিন রাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে, শনিবার রাতব্যাপী রাশিয়া ইউক্রেনে ১৪৩টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে ইউক্রেনের তরফ থেকে জানানো  হয়েছে। তবে, এর মধ্যে ৯৫টি ভূপাতিত করা সম্ভব হয়েছে এবং আরও ৪৬টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানায়। 

হামলায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও কিয়েভ অঞ্চলে বেশ কিছু ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, গতকাল রবিবার রাতে মাইকোলেইভের তাপমাত্রা মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিলো। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শান্তি চুক্তি বিষয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, এক্ষেত্রে তিনি মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইউক্রেনের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করায় বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। 

একইসঙ্গে, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো আলোচনা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে আজ সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন। 

সূত্র : ডয়চে ভেলে।