গাজা দখলের পরিকল্পনায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ট্রাম্প
আরব বিশ্বের তীব্র নিন্দা
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩:২৭, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২৩:৩৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ। নিজ ভূমি কখনো ছেড়ে যাবে না বলে দৃঢ় প্রতীক্ষা ব্যক্ত করে তারা।
ফিলিস্তিনের গাজা দখলের বিতর্কিত পরিকল্পনায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও অভিযোগ সত্ত্বেও আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিশদ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও পুরোপুরি অবৈধ বলে মত দিয়েছে জাতিসংঘ।
কিন্তু, নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হলে গাজা উপত্যকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বুঝিয়ে দিবে ইসরায়েল।’
এ সময় তিনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের নির্দেশের সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করেন। গাজাবাসীদের ভূখণ্ড ত্যাগে সম্প্রতি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী কাৎজ। এক্ষেত্রে, জল-স্থল-আকাশপথে তাদের বিভিন্ন জায়গায় স্থানাস্তরের নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখলের পর ফিলিস্তিনিদের এ অঞ্চলেরই অন্য স্থানে পুনর্বাসিত করা হবে বলে জানানো হয়। সেটি গাজা থেকে অনেক দূরে এবং অনেক সুন্দর স্থান হবে বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিরা প্রকৃতপক্ষে সুখী, নিরাপদ ও মুক্ত হবে।’
কিন্তু, গাজায় বসবাসরাত ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূখণ্ড ছেড়ে যাওয়ার এ নির্দেশ মেনে নেবে না বলে জানিয়েছে। একইসঙ্গে, ট্রাম্পের এ পরিকল্পনার ব্যাপক সমালোচনা করেছে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
তবে, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ফিলিস্তিনের পার্শ্ববর্তী মিশর ও জর্ডানকে তাদের দেশে গাজার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প। কিন্তু, শুরুতেই ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছে কায়রো ও আম্মানসহ আরব লীগ।
অন্যদিকে, একে মার্কিন শক্তির সম্পূর্ণভাবে ফিলিস্তিনকে দখলের এক সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসেবে অভিযোগ করেছে ইরান।
এদিকে, গাজা খালি করার পর সারা বিশ্বে অবস্থিত ট্রাম্পের উন্নয়ন প্রকল্প দল ওই ভূখণ্ডে অবকাঠামো নির্মাণের মধ্য দিয়ে একে বিশ্বের সর্বাধিক আর্কষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন স্থানে পরিণত করবে বলে ট্রাম্প জানান। তিনি বলেন, ‘এ কাজে কোনো মার্কিন সেনার প্রয়োজন নেই।’
তবে, তিনি কিভাবে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিবেন, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা দেননি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের গাজা দখলের এ পরিকল্পনা শুধু এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ এবং বৃহৎ ইসলামিক বিশ্বের তোপের মুখেই পড়েনি। বরং, এটি এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যও অনেক বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ, গাজায় মার্কিন উপস্থিতি অনেক জঙ্গি গোষ্ঠীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উসকে দিবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে, সিএনএন।