রাজনীতি

ব্রিটিশ জলসীমায় আবারও রাশিয়ার গোয়েন্দা জাহাজ

পুতিনকে সতর্ক করলো ইংল্যান্ড

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১৭, ২২ জানুয়ারি ২০২৫;  আপডেট: ২২:২৮, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

ব্রিটিশ জলসীমায় আবারও রাশিয়ার গোয়েন্দা জাহাজ

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে রাশিয়ার জাহাজটির উপর নজরদারি করে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর রণতরী এইচএমএস সামারসেট।

ব্রিটিশ জলসীমায় প্রবেশ করা রাশিয়ার একটি গোয়েন্দা জাহাজের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে ব্রিটেনের রাজকীয় নৌবাহিনী। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে জাহাজটি ব্রিটিশ জলসীমায় প্রবেশ করে বলে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব দেশটির মন্ত্রীদের অবগত করেন।

ইয়ানতার নামের জাহাজটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং ব্রিটেনের সমুদ্র তলদেশের স্পর্শকাতর অবকাঠামোর নকশা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেন প্রতিরক্ষা সচিব জন হেইলি। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের এটি আরও একটি নজির।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুতিনকে বলতে চাই যে : আমরা তোমাদের ওপর নজর রাখছি, আমরা জানি যে তোমরা কি করছো এবং আমরা আমাদের দেশ রক্ষায় যেকোনো পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবো না।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে এবার দ্বিতীয়বারের মতো জাহাজটি ব্রিটিশ জলসীমায় প্রবেশ করলো বলে প্রতিরক্ষা সচিব জানান। এর আগে গত নভেম্বরে আরেকবার জাহাজটির উপস্থিতি লক্ষ্য করে ব্রিটেন। সে সময় এটি দেশটির সমুদ্র তলদেশের স্পর্শকাতর অবকাঠামোর কাছাকাছি বেশ কিছুদিন অবস্থান করে বলে জানানো হয়।

তবে,  ইয়ানতার সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ এবং এটি দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয় বলে রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

কিন্তু,  জাহাজটির গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ থাকায় ব্রিটেনের রাজকীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এর উপর নজরদারি করতে সাবমেরিন পাঠানো হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা সচিব জানিয়েছেন।

এদিকে, ইয়ানতার নামের জাহাজটি বর্তমানে দক্ষিণ সাগরে আছে বলে জানা গেছে। এর আগে ব্রিটিশ জলসীমা অতিক্রম করার সময় গত সোমবার ইংলিশ চ্যানেলের ৪৫ মাইল দূরে ব্রিটিশ উপকূলের কাছে জাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

এর পর পরই রাজকীয় নৌবাহিনীকে জাহাজটির উপর নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, বাল্টিক সাগরের তলদেশে অবস্থিত স্পর্শকাতর অবকাঠামোর সুরক্ষায় রাজকীয় বিমান বাহিনীও কাজ করবে। এছাড়া, খুব শিগগিরই ন্যাটোর তরফ থেকেও নজরদারিতে সাহায্য করা হবে বলে প্রতিরক্ষা সচিব হেইলি জানান।

তবে, জাহাজটি এখন পর্যন্ত সমুদ্র সীমার আন্তর্জাতিক কোনো আইন লঙ্ঘন করেনি এবং ব্রিটিশ জলসীমা অতিক্রম করে বর্তমানে ভূ-মধ্যসাগরে অবস্থান করছে বলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলো প্রায় সময়ই ইউরোপের বিভিন্ন জলসীমায় এ ধরনের জাহাজের উপস্থিতি দেখতে পায়। এদের অধিকাংশই সমুদ্র তলদেশে স্থাপিত বিভিন্ন ক্যাবল লাইনের অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করে বলে সন্দেহ করে আসছে দেশগুলো।

মূলত, ইউক্রেনে পুরোদমে হামলা শুরুর পর থেকে রাশিয়া এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করেছে বলে সন্দেহ করছে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো।

সূত্র : বিবিসি।