রাজনীতি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ২১ জানুয়ারি ২০২৫;  আপডেট: ০৯:৪৬, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

রিপালিকান দল থেকে এবার দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১২টার দিকে দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। ট্রাম্পকে শপথ বাক্য পাঠ করান দেশটির প্রধান বিচারক জন রবার্টস।

শপথ গ্রহণ শেষে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প ‘আমেরিকায় এই মুহূর্ত থেকে স্বর্ণযুগের সূচনা হবে’ বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তিনি বাণিজ্য, অভিবাসন এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।
 
একইসঙ্গে, গত বছর নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে আততায়ীর গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকাকে আবারও বিশ্বের সামনে মহান হিসেবে তুলে ধরতে ঈশ্বর আমাকে বিপদ থেকে রক্ষা করে ফিরিয়ে এনেছেন।’

ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টসহ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা। এতে আরও যোগ দেন অন্যান্য দেশের রাজনীতিবিদরাও।

অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং তার স্ত্রী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, জুনিয়র এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলি, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।

এ ছাড়াও এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্বের আধিপত্যশালী ব্যক্তি ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস ও মার্ক জাকারবার্গসহ আরও অনেকে।

একইসঙ্গে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউক্রেন, রাশিয়া ও জার্মানিসহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।

এদিকে, ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম কার্যদিবসেই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাকারবারি ঠেকাতে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়াও তিনি ‘বার্থরাইট সিটিজেনশিপ’ আইনটি বাতিলের উদ্যোগ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ আইনের আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শরণার্থী ও অভিবাসীর সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে জন্মসূত্রে তারা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুবিধা পেয়ে আসছিলো।

একইসঙ্গে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নিজ দেশকে সরিয়ে এনে ট্রাম্প জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রিপালিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তৎকালীন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলের কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেন।

সূত্র : সিএনএন।