নতুন মুদ্রা বিষয়ে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোকে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০০:৪৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
উচ্চহারে শুল্কারোপ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর উপর শতভাগ শুল্কারোপের হুমকী দিয়েছে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীন ও রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ নিয়ে গঠিত এ সংস্থাটি নতুনভাবে নিজস্ব কোনো মুদ্রা প্রচলনের উদ্যোগ নিলে তাদের এ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করেন তিনি। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে শনিবার এ বার্তা দেন তিনি।
এতে শিগগরিই প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা পেতে যাওয়া ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো যদি মনে করে তারা নতুন মুদ্রার প্রচলন করবে আর আমরা তাকিয়ে দেখবো, সেই দিন শেষ। এ সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তারা নতুন কোনো মুদ্রাও চালু করবে না আবার অন্য কোনো মুদ্রাকেও মার্কিন ডলারের স্থলাষিভিক্ত করবে না। কিন্তু, তারা যদি তা না করে তাহলে তাদের পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য বিক্রির স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।’
ট্রাম্পের নতুন এ হুমকীর বিষয়টি এমন সময় প্রকাশ পেলো যার মাত্র কয়েকদিন আগেই তিনি মেক্সিকো, কানাডা ও চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা পণ্যের উপর উচ্চহারে শুল্কারোপের ঘোষণা দেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই তিনি এটি কার্যকর করবেন বলে জানান। একইসঙ্গে, সীমান্ত পার হয়ে আসা অবৈধ অভিবাসী এবং মাদক চোরাকারবারি ও অপরাধীদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে ২০১১ সালে ব্রিকস গঠিত হয়। এছাড়া, চলতি বছরের প্রথম দিকে ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, ইথিওপিয়া এবং মিশরও আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংস্থায় যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।
এদিকে, ব্রিকসের সদস্য রাষ্ট্র ব্রাজিল ২০২৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর জন্য একটি একক মুদ্রা প্রচলনের প্রস্তাব করে। মূলত, মার্কিন ডলারের উপর থেকে অতি নির্ভরতা কমাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা এ প্রস্তাব দেন।
তবে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর ক্ষেত্রে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলেও ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর জন্য তা কঠিন। কারণ, নতুন মুদ্রার প্রচলনের মধ্য দিয়ে মার্কিন ডলারের আধিপত্য কমানো সম্ভব হলে তা রাশিয়া, চীন ও ইরানের মতো প্রভাবশালী ও মার্কিন বিরোধী দেশের জন্য তা লাভজনক হতে পারে। কিন্তু, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক ভিন্নতার কারণে এ ধরনের একক মুদ্রা প্রচলনের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
সূত্র : সিএনএন।