রাজনীতি

বিরোধপূর্ণ জলসীমায় জাপানি জাহাজের অনুপ্রবেশের অভিযোগ চীনের

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ১৭ অক্টোবর ২০২৪;  আপডেট: ১৬:৫৩, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

বিরোধপূর্ণ জলসীমায় জাপানি জাহাজের অনুপ্রবেশের অভিযোগ চীনের

চীনের দিআয়ু বা জাপানের সেনকাকু দ্বীপ এলাকায় দেশ দুটির কোস্ট গার্ডদের টহল জাহাজ।

পূর্ব চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ জলসীমায় একটি জাপানি জাহাজের অনুপ্রবেশের অভিযোগ করেছে চীন। জাপানের মাছ ধরার একটি জাহাজ বিরোধপূর্ণ এ জলসীমায় অবস্থিত কয়েকটি দ্বীপ এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় জাহাজটিকে ওই এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার চীনা কোস্ট গার্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

বেইজিং কোস্টগার্ডের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, এ বিষয়ে তারা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছেন, জাহাজটিকে সতর্ক করাসহ এটিকে ওই এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৫ ও ১৬ অক্টোবর চীনা কোস্টগার্ড দিআয়ু নামের ওই দ্বীপগুলোর আশেপাশের জলসীমায় তল্লাশি চালায়। এ সময় তারা জাপানি জাহাজের উপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং তাদের ওই এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেয়। কোস্টগার্ডের মুখপাত্র লিও দেজান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ জলসীমায় আমরা জাপানকে অবিলম্বে সব ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে এখনও জাপানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, জাপানিদের কাছে সেনকাকু নামে পরিচিত এসব দ্বীপের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই বলে বরাবরই চীনের অভিযোগ নাকচ করে আসছে দেশটি। কিন্তু, পূর্ব চীন সাগরের খুবই ছোট ও মানুষের বসবাসহীন এসব দ্বীপের তলদেশে তেল-গ্যাসের বিপুল মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিতর্কিত এ জলসীমা নিয়ে বেশ কয়েকবারই বিরোধে জড়িয়েছে দেশ দুটি। গত এপ্রিলেই জাপানের কিছু আইনজীবী ওই এলাকা পরিদর্শনের উদ্যোগ নিলে এতে বাধা দেয় চীনের কোস্টগার্ড।

তারপরও, জাপানি আইনজীবীরা ওই দ্বীপাঞ্চলে তিন ঘণ্টা অবস্থান করে এবং ড্রোনের সাহায্যে ওই এলাকার চারপাশ পর্যবেক্ষণের চেষ্টা চালায়।  সে সময় তাদের এ কর্মকাণ্ডকে উসকানিমূলক ও বৈআইনি বলে অভিযোগ করে চীন।

এদিকে, গত জুনে চীনও নৌযান নিয়ে এ এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেছে বলে দাবি করে জাপান। সে সময় এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে দেশটি। তবে, শুধু পূর্ব চীন সাগর নয়, বরং, দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বড় অংশও নিজেদের বলে দাবি করে চীন। এ নিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আরও অনেক দেশের সঙ্গেই তাদের বিরোধ রয়েছে।

এক্ষেত্রে, গত প্রায় ১৮ মাস দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ জলসীমা নিয়ে ফিলিপাইনের সঙ্গে উত্তেনাপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে চীনের। এক পর্যায়ে এ বিরোধের জেরে দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কাও দেখা দেয়।

তবে, নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (দ্য পার্মানেন্ট কোর্ট অব অ্যান্ট্রিবিউশন) থেকে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেইজিংয়ের দাবি নাকচ করা হয়। এ সময় আন্তর্জাতিক আইনে এ জলসীমার ৯০ শতাংশ তাদের বলে চীনের দাবির কোনো ভিত্তি নেই বলে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সূত্র : আল-জাজিরা।