রাজনীতি

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন দিশানায়েকে

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪;  আপডেট: ২২:৫৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন দিশানায়েকে

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের শপথ করেন নতুন প্রেসিডেন্ট। ছবি : বিবিসি।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন বাম নেতা অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে আজ সোমবার দেশটির নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন মাক্স-লেনিনপন্থী এ রাজনীতিবিদ। রাজধানী কলম্বোতে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহকে পরাজিত করে ক্ষমতায় এলেন দিশানায়েকে। ২০২২ সালে ব্যাপক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে শ্রীলঙ্কার সংসদ থেকে বিক্রমাসিংহকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো।

নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ উপলক্ষ্যে নিজ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দিনেশ গুনাবারদেনা। মূলত, দিশানায়েকেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও নতুন সংসদ গঠনের সুযোগ করে দিতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে, সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তার সরকার কাজ করবে বলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দিশানায়েকে বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমাকে ভোট দেননি, তাদের আস্থা অর্জনেও আমি কাজ করবো।’

শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন দেশটির জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এর পর থেকে দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শপথ গ্রহণের পর এ বিষয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা এটা গভীরভাবে অনুভব করছি যে সামনে একটা খুব কঠিন পথ পাড়ি দিতে যাচ্ছি। আমরা এটা বিশ্বাস করি যে একটি সরকার, একক কোনো দল বা ব্যক্তির পক্ষে কঠিন এ সমস্যার মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনো জাদুকর নই। আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। আমার যেমন অনেক শক্তি আছে, তেমনি অনেক প্রতিবন্ধকতাও আছে। আমি যেমন অনেক কিছু জানি, আবার একইসঙ্গে এমন অনেক বিষয় আছে যা আমি জানি না। ফলে, আমার দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে বর্তমান এই দুর্দশা থেকে টেনে তুলতে সম্মিলিতভাবে কাজ করা।’

শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কঠোর মিতব্যয়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে করা অনুদান চুক্তির ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। দুর্বিষহ এ অবস্থা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে পরিত্রাণ দেওয়াই হবে এখন নতুন প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

তবে, এ চুক্তির মূল বিষয়ে কোনো পরিবর্তন করলে চতুর্থ দফার প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের অনুদান পেতে বিলম্ব হবে বলে বিক্রমাসিংহে সতর্ক করেছেন।

উল্লেখ্য, একসময়কার প্রান্তিক পর্যায়ের মাক্সপন্থী ৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েকে ৩৮ জন প্রার্থীকে পরাজিত করে এ নির্বাচনে জয় লাভ করেন। শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাকে ১ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি। সাজিথ শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসার ছেলে। নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে ।

সূত্র : ডয়চে ভেলে।