রাজনীতি

ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০৩, ১৬ জুলাই ২০২৪;  আপডেট: ০০:৩৮, ১৬ জুলাই ২০২৪

ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার

ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলাই সুপ্রিম কোর্টে নেওয়া হবে বলে তথ্যমন্ত্রী জানান।

পাকিস্তান সরকার ইমরান খানের রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নামের দলটি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল। গতকাল সোমবার পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এ ঘোষণা দিয়েছেন।

এর কয়েকদিন আগেই পিটিআইয়ের পক্ষে আদালত থেকে একটি রায় ঘোষণা করা হয়। এতে জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদের সংরক্ষিত পদে দলটি আসন ভাগাভাগি করতে পারবে বলে ঘোষণা করা হয়। এটি ছিলো দলটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিজয়।

এদিকে, সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সরকার পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি।’

এ সময় তিনি ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত বছর সহিংস বিক্ষোভে উসকানি দেওয়া এবং গোপনীয় নথিপত্র ফাঁস করে দেওয়াসহ উত্থাপিত অন্যান্য অভিযোগের কথা উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলাই সুপ্রিম কোর্টে নেওয়া হবে বলে তথ্যমন্ত্রী জানান।  

এছাড়া, ইমরান খানসহ পিটিআইয়ের আরও জৈষ্ঠ্য দুই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্টদ্রোহের মামলা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে, এ দলটির পক্ষে দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে রিভিউ আপিল করা হবে বলে তথ্যমন্ত্রী সতর্ক করেন।

এ রায়ে পিটিআইকে নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত কয়েকটি আসনে সংসদে প্রার্থী বরাদ্দের সুযোগ দেওয়া হয়। এছাড়াও, গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট থেকে পিটিআইকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, নির্বাচনী প্রতীক না থাকলেও দলটির প্রার্থী মনোনয়নের সুযোগ রয়েছে বলে রায় দেয় আদালত।

গত ফ্রেবুয়ারিতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সময় পিটিআইকে এর নির্বাচনী প্রতীক ‘ক্রিকেট ব্যাট’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে, সে সময় দলটি বিভিন্ন আসনে দলের প্রার্থীদের ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে মনোনয়ন দিতে বাধ্য হয়। তা সত্ত্বেও সে সময় পিটিআই সর্বোচ্চ ৯৩টি আসন লাভ করে।

তবে, ইমরান খান তখন তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধী নেওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নেওয়াজ ও অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠনে অসম্মতি জানায়।  

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু, ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদের অনাস্থা ভোটে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। এর পর থেকেই তিনি একের পর এক আইনি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছেন।

কিন্তু, বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন পিটিআই নেতা ইমরান খান। তবে, সম্প্রতি আদালতের বেশ কয়েকটি রায় তার পক্ষে গেলেও গত বছরের আগস্ট থেকে কারাবন্দী আছেন পাকিস্তানের এ রাজনৈতিক নেতা।

সূত্র : আল-জাজিরা।