হামাসের সেনা প্রধানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা : নিহত ৭১
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩:৩১, ১৩ জুলাই ২০২৪; আপডেট: ২৩:৩৪, ১৩ জুলাই ২০২৪
গাজায় প্রায় ৯ মাস ধরে চলমান যু্দ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার গাজার আশ্রয় শিবিরগুলোর জন্য নির্ধারিত একটি এলাকায় চালানো এ হামলায় আরও ২৮৯ জনেরও বেশি আহত হয়।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মূলত হামাসের জৈষ্ঠ্য এক নেতাকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
গাজার খান ইউনিসের নিকটবর্তী আল-মাওয়াসি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে এ জায়গাটি ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিকদের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তারা মানবিক সহায়তা ও আশ্রয় পেতে পারে।
কিন্তু, সাধারণ নাগরিক নেই, এমন উন্মুক্ত জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে বলে এক ইসরায়েলি সেনা দাবি করেছে। একইসঙ্গে, হামাসের সেনাবাহিনীর প্রধান মোহাম্মেদ দেইফকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয় বলে স্বাীকার করেন তিনি।
তবে, তাদের নেতাকে লক্ষ্য করে হামলার চালানোর এ দাবি নাকচ করেছে হামাস। এক বিবৃতিতে এ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর মতো এমন দাবি করার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। তারা আগেও এমন দাবি করেছে, যা পরে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।’
এদিকে, এ হামলার পর পর খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে রোগীদের ভীড়ে বর্তমানে জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে, এটি এখন আর প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে না বলে ব্রিটিশ চ্যারিটি মেডিক্যাল এইড ফর প্যালেস্টাইন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোহাম্মেদ দেইফ হামাসের সেনা শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রধান। একইসঙ্গে, সে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান লক্ষ্য। ১৯৮৯ সালে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ একবার তাকে আটক করে জেলে বন্দী করে। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই সে ইসরায়েলি সেনাদের আটকের উদ্দেশ্যে এ ব্রিগেড গঠন করে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে হামাসের চালানো অতর্কিত হামলা ও অনেক ইসরায়েলিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হামাসের অন্য জৈষ্ঠ্য নেতাদের সঙ্গে মোহাম্মেদ দেইফও নেতৃত্ব দিয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।
সূত্র : বিবিসি।