ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২:৪২, ১৯ মে ২০২৪; আপডেট: ১৬:২৫, ২০ মে ২০২৪

আজ সকালে নতুন নির্মিত বাঁধটি পরিদর্শন করেন ইরান ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চল সফরের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে এবং তার অবস্থা সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুলাহিয়ানও ছিলেন। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বার্তা সংস্থা ইরনা আজ রবিবার এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের সীমান্ত সংলগ্ন পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ঘন কুয়াশার কারণে হেলিকপ্টারটি অবতরণে বাধ্য হয় বলে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ভাহিদি জানিয়েছেন।
এ পর্যন্ত ২০টি উদ্ধারকারী দল ও একটি ড্রোন দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীদের পক্ষে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইরনা জানায়।
এ বিষয়ে বার্তাসংস্থা ইরনা বলে, ‘২০টি উদ্ধারকারী দল ও একটি ড্রোন দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা, গভীর বন এবং ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।’
ইরান ও আজারবাইজানের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত একটি বাঁধের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সীমান্ত সংলগ্ন ওই প্রদেশটিতে যান। এটি ছিলো আজারবাইজানের সঙ্গে ইরানের তৃতীয় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প।
প্রকল্প উদ্বোধন শেষে তিনি আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে ওই এলাকা ঘুরে দেখেন। এর আগে দুই দেশের প্রধান একটি বৈঠকেও যোগ দেন।
সব অনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে ফিরে আসছিলো। এ সময় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশ সংলগ্ন ভারজাকোয়ান এলাকায় এটি বিধ্বস্ত হয়।
ওজি এবং পির ডাভোড গ্রামের মাঝামাঝি ডিজমার নামের বনাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় বলে ইরনা জানায়। এ সময় ভারজাকোয়ানের উত্তরাংশের বাসিন্দারা বিকট শব্দ শুনতে পায় বলে জানিয়েছে।
হেলিকপ্টারে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে সামান্য যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় পুরোপুরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। তবে, খুব শিগগিরই উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছবে এবং তারা আরও তথ্য জানতে পারবে বলে এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটি ছিলো মূলত মোট তিনটি হেলিকপ্টারের একটি বহর। বাকি দু’টি হেলিকপ্টারে ইরানের আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তবে, ওই দু’টি হেলিকপ্টার নিরাপদেই গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে।
সূত্র : সিএনএন ও আল-জাজিরা।