রাজনীতি

বিশেষজ্ঞ মতামত

ভারতের নির্বাচনকে হিন্দু-মুসলিম যুদ্ধে পরিণত করতে চাইছেন মোদি

প্রকাশিত: ০০:১০, ২৭ এপ্রিল ২০২৪;  আপডেট: ০০:২৯, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাজনীতি ডেস্ক

ভারতের নির্বাচনকে হিন্দু-মুসলিম যুদ্ধে পরিণত করতে চাইছেন মোদি

ভারতে একটি নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের চলমান জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার এক নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন, যা সরাসরি ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি আক্রমণ বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধ লিখেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অপূর্বানন্দ। আল-জাজিরায় প্রকাশিত তার এ লেখাটিই ইংরেজি থেকে ভাষান্তর করে প্রকাশ করা হলো।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দেশটির চলমান সাত স্তরের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের জন্য দেশটির হিন্দু জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। একইসঙ্গে, নির্বাচনী প্রচারণায় তারা এমন বার্তা দিচ্ছেন যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করা মানে তাদেরকে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করা। কারণ, তাদের মতে, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে চক্রান্ত করছে, কীভাবে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ধন-সম্পত্তি ও অধিকার কেড়ে নিয়ে তা মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।

গত রবিবার রাজস্থানে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় মোদি বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তারা হিন্দুদের সব ধন-সম্পত্তি কেড়ে নেবে এবং তাদেরকে দিয়ে দেবে যাদের 'অনেক সন্তান রয়েছে'। এর মধ্য দিয়ে তিনি খুব স্পষ্টভাবেই মুসলিমদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। এ সময় তিনি ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়কে 'অনুপ্রবেশকারী' বলেও উল্লেখ করেন।

মোদির এ মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির বিভিন্ন এলাকার নাগরিক ও সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে মোদির বিতর্কিত এ মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এমনকি তার এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের জন্য মোদিকে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করারও আহ্বান জানায় পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টিস নামের ডানপন্থী একটি দল।

তবে, এ আহ্বানে এখনও কোনো সাড়া দেয়নি দেশটির নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, এ ঘটনার মাত্র দুদিন পরই আবারও জোরালোভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গত মঙ্গলবার রাজস্থানে অনুষ্ঠিত এ ধরনেরই আরেকটি নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি আবারও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, কংগ্রেস হিন্দুদের সম্পদ ও অধিকার কেড়ে নিয়ে 'নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে' দিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।
 
এ ব্যাপারে কোনো দ্বিধা নেই যে, মোদি আসলে এর মধ্য দিয়ে এটিই বোঝাতে চাইছেন যে কংগ্রেস মূলত দেশটির পিছিয়ে পড়া, নিম্নবর্গের হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দকৃত শিক্ষা, চাকরি ও সরকারি ভাতার মতো সুবিধাগুলো বন্ধ করে দিয়ে তা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ করবে। স্বাভাবিকভাবেই এটি তার নির্বাচনী কৌশলেরই একটি অংশ। এর মধ্য দিয়ে তিনি আসলে পিছিয়ে পড়া নিম্নবর্গের দলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে ভয় ধরিয়ে দিতে চাইছেন, যেন তারা নিশ্চিতভাবেই বিজেপিকে ভোট দেয়।

এদিকে, গত মঙ্গলবারই ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, কংগ্রেস ভারতে মুসলিম আইন প্রণয়ন করতে চায়। এটি স্পষ্টতই, 'ভারতকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত হচ্ছে' - এ ধরনের একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

মোদি বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করায় দক্ষ। কারণ, তিনি জানেন, এমনকি 'মুসলিম' শব্দটি উচ্চারণ না করেও কীভাবে মুসলমানদের অপমান, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ও আক্রমণ করা যায়।

উদাহরণ হিসেবে ২০০২ সালের দাঙ্গার কথা বলা যায়। তখন ভারতের গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে সময় শুরু হওয়ায় দাঙ্গায় গুজরাটের কয়েক হাজার মুসলিমকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে শরণার্থী শিবিরে যেতে বাধ্য করা হয়। এমনকি, পরবর্তী সময় রাজ্য সরকারের নির্দেশে এসব অস্থায়ী শিবিরও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে যখন রাজ্য সরকার সমালোচনার সম্মুখীন হয়, তখন এ বিষয়ে মোদি বলেছিলেন, তিনি এখানে 'বাচ্চা উৎপাদনের কারখানা' রাখতে চান না।

সে সময় তিনি 'মুসলিম' শব্দটি একবারও উচ্চারণ না করেই বলেছেন, এরা হচ্ছে সে-সব মানুষ, যাদের জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে 'আমরা ৫, আমাদের ২৫'।  এর মধ্য দিয়ে তিনি আসলে ইসলাম ধর্মে মুসলিম পুরুষদের চারটি বিয়ের যে বৈধতা দেওয়া হয়েছে, সেটিই উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে, এভাবে চারটি বিয়ের মধ্য দিয়ে একটি পরিবারে ২৫টি সন্তান হবে- এটি বোঝাতে চেয়েছেন মোদি।

এভাবে তার একেকটি বক্তৃতায় মোদি বরাবরই মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের দাঁড় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যেমন : 'গোলাপি বিপ্লব' (আমিষাশী) ও 'সাদা বিপ্লব' (নিরামিষভোজী) এবং কবরস্থান ও শ্মশান নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে সবসময়ই তিনি সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

একইভাবে, গত রবিবারের সেই বক্তৃতাতেও ভারতের মুসলমানদের 'বেশি সন্তান উৎপাদনকারী ও 'অনুপ্রবেশকারী' বলে তিনি আবারও সেই একই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ধোঁয়া তুললেন, যেখানে তিনি বরাবরের মতোই নিজ দেশের মুসলমানদের বহিরাগত বলে চিহ্নিত করে, তারা অধিক সন্তান জন্ম দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের জায়গা দখল করতে চাইছে- এটি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন।

আর, এভাবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছেন, যেখানে তিনি এ নির্বাচনকে আদতে হিন্দু-মুসলমানের যুদ্ধে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর, বিজেপি খোলামেলাভাবেই নিজেদের হিন্দুত্ববাদী দল বলে উল্লেখ করে। ফলে, তার দেওয়া এসব বক্তৃতা থেকে এটা ভাবা অস্বাভাবিক নয় যে, তিনি শুধু ভারতের হিন্দু জনগোষ্ঠীকেই তার ভোটার হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। গত বছর আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেন, মিয়াদের (বাংলা-ভাষী মুসলিম) ভোট তিনি চাননি।

তবে নির্বাচনের প্রধম ধাপে আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বিজেপি। এ কারণেই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অনেক বিশ্লেষক মত দিয়েছেন। আর, এ বেপরোয়া ভাব থেকেই তারা আবারও ভোটার টানার কৌশল হিসেবে সেই পুরনো ফর্মুলাই কাজে লাগাচ্ছে। অর্থাৎ, মুসলমানরা ভারত দখল করে নেবে বলে হিন্দুদের মনে ভয় ঢোকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে দলটি।

কিন্তু, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে মোদির বক্তৃতাগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, তিনি প্রথম থেকেই ভারতের প্রধান বিরোধী দলকে হিন্দু-বিরোধী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। উদারহরণ হিসেবে বলা যায়, তিনি কংগ্রেসের ভাবধারাকে মুসলিম লীগ থেকে উৎসারিত বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ আমলে উপনিবেশবাদী শাসন থেকে ভারতের মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় মুসলিম লীগ নামের রাজনৈতিক দলটি গঠন করা হয়েছিলো।

এমনকি তিনি এটিও বলেছেন যে, বিরোধী দলের মনোভাব ১৬ থেকে ১৮ শতক পর্যন্ত ভারত শাসন করা মোগলদের মতো। কেননা, কংগ্রেস নেতারা হিন্দুদের পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির দিনগুলোতে মাছ-মাংস খেয়ে হিন্দুদের অপমান করেছেন এবং তাদের 'নিজস্ব ভোটারদের' খুশি করার চেষ্টা করেছেন। আর এ ভোটাররা, মোদির মতে, অবশ্যই মুসলিম সম্প্রদায়।

এভাবে, কংগ্রেস শুধু ভারতের মুসলমান সম্প্রদায়কে খুশি করার জন্যই হিন্দু-বিরোধী অবস্থান নিয়েছে বলে মোদি জোরালোভাবে প্রচার করছেন। কিন্তু, এটি খুবই অযৌক্তিক একটি অভিযোগ। কারণ, ভারতের মতো দেশে শুধু মুসলমানদের খুশি করে আর হিন্দুদের দূরে ঠেলে দিয়ে সত্যিকার অর্থে কংগ্রেসের পক্ষে নির্বাচনে জয় লাভ করা সম্ভব নয়। কিন্তু, কোনো যুক্তি দিয়েই মোদি ও তার দল বিজেপিকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বরং, তারা ক্রমাগতভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ করে যাচ্ছে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।

নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির এমন প্রচারণা কৌশল ভারতের নির্বাচন কমিশন প্রণীত আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কারণ, এখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণা বা ভোটার আকৃষ্ট করার কৌশল হিসেবে কোনো দল বা ব্যক্তি ধর্ম বা সাম্প্রদায়িকতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেনা।

একইসঙ্গে, এটি সংবিধানের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারারও লঙ্ঘন। কারণ, এতে সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডাকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের এ ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, 'নির্বাচনে প্রার্থী বা যে-কোনো ব্যক্তি কারও ভোট পাওয়া বা কাউকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখার নিশ্চয়তা হিসেবে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সম্প্রদায় বা ভাষাকে ব্যবহার করলে সেটি হবে দুর্নীতিমূলক নির্বাচনী আচরণ।' এ ক্ষেত্রে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে এ আইনের ধারায় তাকে ছয় বছরের বেশি সময় কারাভোগ করতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।

আর, আইনের এ ধারা বলেই ১৯৯৯ সালে ভারতের শিব সেনা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বাল থ্যাকারের ছয় বছরের জন্য নির্বাচন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, তিনি সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু, ভারতে চলমান এ নির্বাচনের সময় মোদির দেওয়া এ ধরনের ব্যক্তব্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিশ্চুপ রয়েছে। আর, এর মূল কারণ, নির্বাচন কমিশন এখন আর স্বচ্ছ নেই; বরং, এটি দলটির সঙ্গে আপস করে চলছে।

গত ডিসেম্বরে বিজেপি ভারতের সংসদে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করে। এর সাহায্যে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগকারী নির্বাচক কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়। এর আগে ভারতের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদের বিরোধী দলের প্রধান এ কমিটিতে ছিলেন। বর্তমান নিয়ম অনুসারে প্রধান বিচারপতির বদলে সেখানে থাকবেন একজন মন্ত্রী যিনি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত হবেন।

আর, এভাবেই নিজের স্বাধীনতা হারিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। কারণ, এ আইন প্রণয়নের পর থেকেই এটি যেন সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাদের ছোটখাট ভুল তারা যেমন গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে, তেমনি বিজেপির বড় ধরনের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের বিপরীতে কার্যকর কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না। এর অর্থ এটিই যে, ভারতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

তবে, বিজেপি তাদের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে গেলেও এ নিয়ে ভারতের মুসলিমদের কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে তাদের মিত্ররা। কারণ, তাহলে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায় আরও বেশি করে বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়বে। ফলে, মুসলিমরা চুপ রয়েছে।

একইভাবে চুপ রয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন এবং আদালতও। আর, অস্বাভাবিক এ নিরতার মধ্য দিয়ে আমরা ভারতে গণতন্ত্রের মৃত্যুর জন্য শোক জানাচ্ছি।

অপূর্বানন্দ : দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি শিক্ষক। তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে লেখালেখি করেন।
ইংরেজি থেকে ভাষান্তর : নুসরাত জাহান।