রাজনীতি

ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শস্য চুক্তি নবায়নের আশাবাদ এরদোয়ানের

রাজনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৫০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩;  আপডেট: ২২:৫৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শস্য চুক্তি নবায়নের আশাবাদ এরদোয়ানের

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন এরদোয়ান।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে স্থগিত শস্য চুক্তি আবারও নবায়ন করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গতকাল সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

গত জুলাইয়ের প্রথম দিকে রাশিয়া এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে। পশ্চিমা দেশগুলো তাদের শস্যসহ বিভিন্ন সার রফতানির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করাই এর মূল কারণ বলে সে সময় অভিযোগ করে দেশটি।

এদিকে চুক্তি নবায়ন না করার কারণে ইউক্রেন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রয়োজনীয় শস্য রফতানি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এটি পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে খাদ্য ঘাটতি তৈরি করাসহ দ্রব্যমূল্যের দামও অনেক বাড়িয়ে দেয়।

তবে সোমবার পুতিনের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে এরদোয়ান চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে রাশিয়ার আগের অভিযোগের বিষয়টি উপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ সে অনুযায়ী নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বলে এ সময় তিনি জানান। আর এর মধ্য দিয়ে খুব শিগগিরই চুক্তি নবায়ন সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন এরদোয়ান।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা নতুন প্রস্তাব তৈরি করেছি। এর মধ্য দিয়ে আমরা ইতিবাচক সাড়া পাবো বলেই ধারণা করছি। খুব তাড়াতাড়িই এ বিষয়ে আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছতে পারবো বলে আশা করছি।’

তবে মূল চুক্তির বিকল্প সমাধান দীর্ঘমেয়াদে কোনো কাজে আসবে না বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

অন্যদিকে রাশিয়ার পণ্য রফতানির উপর থেকে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেই তারা এ চুক্তি নবায়ন করবে বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এ বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘শস্য চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনার বিষয়টি ভেবে দেখতে আমরা প্রস্তুত এবং আমরা এটি খুব শিগগিরই করবো যদি রাশিয়ার কৃষি পণ্য রফতানির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া হয়।’

তবে রাশিয়ার এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাস সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লেভরভের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব পাঠান। মূলত দেশটির পণ্য বৈশ্বিক বাজারে রফতানির বিষয়টি নিশ্চিত করাই ছিলো এর উদ্দেশ্য। কিন্তু রাশিয়া জাতিসংঘের এ প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয় বলে সে সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।

এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেন থেকে সারা বিশ্বে শস্য রফতানির বিষয়টি সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে জাতিসংঘ। এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রয়েছে তুরস্ক। এক্ষেত্রে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

তিনি বরাবরই রাশিয়াকে ইউক্রেনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। মূলত বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতেই বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তবে ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই মূলত দেশটির খাদ্যশস্যের ভান্ডার ও তা রফতানি করার উপযোগী বন্দরগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।

উল্লেখ্য, বিশ্বে শস্য সরবরাহকারী সবচেয়ে বড় দেশগুলোর একটি হচ্ছে ইউক্রেন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে।