৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২:২০, ১২ মে ২০২৪; আপডেট: ২২:২২, ১২ মে ২০২৪
ফিলিস্তিনিদের জন্য গাজার কোনো অংশই এখন আর নিরাপদ নয়।
গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও এ আহ্বান জানালেন তিনি। আজ রবিবার এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান মহাসচিব গুতেরেস।
কুয়েতে আন্তর্জাতিক দাতাদের এক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। সেখানে ওই ভিডিও বার্তায় তিনি একইসঙ্গে হামাসের কাছে জিম্মি সব বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ গাজায় অবিলম্বে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোরও আহ্বান জানান।
মহাসচিব বলেন, ‘যুদ্ধ বিরতি হবে একটি শুরু মাত্র। কারণ, যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি ও ভীতি কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।’
তবে, জাতিসংঘ মহাসচিবের এ আহ্বানের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধ চলমান রয়েছে। আর, এ যুদ্ধের ফলে ফিলিস্তিনে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে।
গত সপ্তাহে গাজার রাফা এলাকা থেকে প্রায় ৩ লাখ মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় বলে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনভিত্তিক শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিএ জানায়। ফিলিস্তিনিদের এভাবে পালিয়ে যাওয়াকে ‘জোরপূর্বক’ ও ‘অমানবিক স্থানাস্তর’ উল্লেখ করে সংস্থাটি থেকে বলা হয়, ‘গাজায় এখন এই মানুষগুলোর আসলে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।’
এদিকে, উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে এখন আর কোনো চিকিৎসা সেবা বা মানবিক সহায়তা সেবা অবশষ্টি নেই বলে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা যায়।
এ সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের কাছে মজুদ থাকা বিভিন্ন চিকিৎসা সেবার ৮০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থায় সাহায্যের যে আবেদন জানিয়েছি, তাতে এখনও কেউ সাড়া দেয়নি।’
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর অনেক ফিলিস্তিনি এ উপত্যকার সবচেয়ে দক্ষিণের সীমান্তবর্তী শহর রাফায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু, উত্তর ও মধ্য গাজা থেকে খান ইউনিস শহর হয়ে বেশ কিছুদিন আগে রাফাতেও হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ফলে, ওখান থেকেও তারা এখন পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
সূত্র : আল-জাজিরা।