ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬:৩২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২; আপডেট: ০১:৪৭, ২৯ অক্টোবর ২০২২
দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ছবি : দ্য সিটিজেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ১৭ বছরের এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনায় আরও ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আজ সোমবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের সিলাত আল-হারিথিয়া গ্রামে ঢুকে মুহাম্মাদ জারাদাতের বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে সেনাবাহিনীর গুলিতে আবু সালাহ নামের ওই ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়। মুহাম্মাদ জারাদাত গত ডিসেম্বরে এক ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরায়েলি সেনারা অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি ভেঙ্গে ফেলতে গেলে কয়েকশত ফিলিস্তিনি সহিংস বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের মধ্যে অনেকে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ করে পাথর ও পেট্রোল বোমা ছোঁড়েন বলে এক ইসরায়েলি সেনা জানান। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা অস্ত্রধারী অনেক ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীকে শনাক্ত করে ও নিরাপত্তার খাতিরে তাদের লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়। তবে ওই বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি কিশোরের মৃত্যুর বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
গত ১৬ ডিসেম্বর জারাদাত ইহুদিদের অবৈধভাবে দখলকৃত হোমেশ এলাকার কাছে ইসরায়েলি এক ব্যক্তিকে তার গাড়িতে থাকাবস্থায় গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৫ সালে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সরে গেলে দখলকৃত ওই এলাকাও খালি করে দেওয়া হয়। ইসরায়েলি ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার পরপরই জারাদাতের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ওই সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সতর্ক করে। বিস্ফোরক দিয়ে মুহাম্মাদ জারাদাতের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, এতে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনিরা আর কোনও ইসরায়েলিকে আক্রমণ করবে না।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করে বলেছে, এটি ইসরায়েলের দমন-পীড়নের একটি কৌশল। সবসময়ই তারা এমন বাড়িগুলোকে তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানায় যেখানে কোনও অভিযুক্তের পাশাপাশি তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও বসবাস করেন। সূত্র : আল জাজিরা।