বন্দি বিনিময়ে সম্মত আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭:৩১, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩; আপডেট: ১৫:২৮, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
গত সেপ্টেম্বরে আবারও নার্গোনো-কারাবাখ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় আজারবাইজান। ছবি : আল-জাজিরা।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শান্তি চুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মধ্যে আলোচনার পর এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দেশ দুটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে জানা গেছে।
এদিকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলমান কয়েক দশকের সংঘাত বন্ধে নেওয়া এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয় ইউনিয় (ইইউ)।
আজারবাইজান তাদের দু’জন যুদ্ধ বন্দির বিনিময়ে আর্মেনিয়ার ৩২ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে জানা গেছে। তাদের সবাই সেনাবাহিনীর সদস্য। আজারবাইজানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা আজারট্যাক এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রিপাবলিক অব আর্মেনিয়া ও রিপাবলিক অব আজারবাইজান এ ধারণায় বিশ্বাস করে যে এখন এমন এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে যার মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে দীর্ঘ প্রতিক্ষীত শান্তি অর্জন করা সম্ভব।’
এতে আরও বলা হয়, ‘দুই দেশের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়েও আমরা সম্মত হয়েছি।’
এদিকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে দেশ দুটির শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সর্বাত্মক সমর্থন জানাবে বলে জানানো হয়। অন্যদিকে দ্রুততার সঙ্গে এ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের তাগাদা দিয়েছে ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল।
উল্লেখ্য, ককেশাসের পাহাড়ি অঞ্চলের নার্গোনো-কারাবাখ নামের একটি এলাকা নিয়ে দশকের পর দশক ধরে দ্বন্ধে জড়িয়ে আছে প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এটি মূলত দেশ দুটির সীমান্তের মাঝখানে আর্মেনিয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত একটি ছিটমহল।
গত সেপ্টেম্বরে আজারবাইজান আবারও এর নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। তাছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত হলেও বহু দশক ধরে আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত এই নার্গোনো-কারাবাখ নিয়ে দুইবার যুদ্ধে জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার যুদ্ধ বিরতির চুক্তি হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
তবে শেষ পর্যন্ত এ এলাকাটি আজারবাইজানের অংশ বলে চলতি বছরের শুরুতে মেনে নেয় আর্মেনিয়া। যদিও ভবিষ্যতে সরকার গঠনের মতো বিষয় নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়ে গেছে।
সূত্র : সিএনএন।