দক্ষিণ আফ্রিকায় সংসদ স্পিকারের বাসায় পুলিশের অভিযান
রাজনীতি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১:২০, ১৯ মার্চ ২০২৪; আপডেট: ২২:৫২, ১৯ মার্চ ২০২৪
তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্পিকার নোসিভিউ মাপিসা-নাকোকুলা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সংসদ স্পিকারের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। দেশটির বর্তমান স্পিকার নোসিভিউ মাপিসা-নাকোকুলার বাসায় এ অভিযান চালায় পুলিশের একটি বিশেষ দল। দুর্নীতির অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজের নিশ্চিয়তা দেওয়ার বিনিময়ে তিনি এ সুবিধা নেন বলে জানা যায়।
তবে স্পিকার দৃঢ়ভাবে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সংসদ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘স্পিকারের বাসায় পুলিশ অভিযান চালায় এবং বিভিন্ন সম্পদ জব্দ করে। তবে স্পিকার মাপিসা তদন্তকারী দলকে তার বাসভবনে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাদের পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ অভিযানে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছেন।’
তবে এ ধরনের অভিযোগে তিনি বিরক্ত উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দুর্নীতি একটি দেশের গণতন্ত্র ও ভালো সরকার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় হুমকি বলে স্পিকার নোসিভিউ মাপিসা-নাকোকুলা বিশ্বাস করেন।’
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল প্রসিকিউটিং অথরিটির পক্ষ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এ অভিযানের ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে স্পিকারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হবে কিনা বা কবে দেওয়া হবে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এতে উল্লেখ করা হয়নি।
পুলিশের এ বিশেষ দলটি মূলত রাষ্ট্রপক্ষের উকিলদের পক্ষে এ অভিযান চালায়। তারাই এ বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।
মাপিসা ২০২১ সালে স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি নয় বছর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন সময় ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের মতো ঘুষ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
একটি প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি এ অর্থ দাবি করেন বলে জানা যায়। প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় সেনা সরঞ্জামাদি পরিবহনের জন্য এ টেন্ডারের আবেদন করেছিলো বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সিরিল রামাফোসা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। এ সময় তিনি দেশের দুর্নীতি দমনের অঙ্গীকার করেছিলেন। তার পূর্বসরি জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।