ফটো গ্যালারি

লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪

আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

ফটো গ্যালারি

প্রকাশিত: ২২:১৩, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫;  আপডেট: ২২:১৪, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪

লস অ্যাঞ্জেলেসের পার্শ্ববর্তী প্যাসিফিক প্যালিসেডস নামের এলাকায় দাবানলে পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে সৃষ্ট দাবানলে বর্তমানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে পৌঁছেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে চলমান ভয়াবহ এ দাবানলে এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিসহ পার্শ্ববর্তী আরও বড় বড় বেশ কয়েকটি শহর এ দাবানলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, গতকাল রবিবার নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গর্ভনর গ্যাভিন নিউসোম। কারণ, সপ্তাহব্যাপী কাজে নিয়োজিত অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা দাবানল নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু, ‘সান্তা অ্যানা’ নামের মৌসুমি বায়ু এ সপ্তাহে আবার ফিরে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বায়ুর কারণে গত সপ্তাহে দাবানল ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

এ অবস্থায় পরিস্থিতি আরও বিপর্যয়কর হয়ে পড়বে। কারণ, এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসের এক লাখের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও ৮৭ হাজার বাসিন্দাকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

একইসঙ্গে, ক্রমাগতভাবে জ্বলতে থাকা আগুন ও চারপাশে হাজার হাজার অবকাঠামো পুড়ে যাওয়ার কারণে চারপাশে বিষাক্ত ছাই ছড়িয়ে পড়েছে। এতে, অঙ্গরাজ্যের বাতাস মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পাইপ ও লাইনের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়াবাসীকে এ এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার নির্দেশের কথা জানিয়েছেন এ অঞ্চলের অগ্নি নির্বাপক দলের প্রধান।

এদিকে, প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও মনুষ্য সৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াও এ দাবানল সৃষ্টির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ক্লাইমামিটার নামের একটি জলবায়ু গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

উল্লেখ্য, জ্বলতে থাকা দাবানলের মধ্যে এটন ও প্যালিসেডস নামের দাবানল দুটি ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও চতুর্থ মারাত্মক ভয়াবহ দাবানল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমানে এটন ও প্যালিসেডসসহ হার্স্ট নামের আরও একটি দাবানলে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রায় ৬০ স্কয়ার মাইল এলাকা পুড়ে গিয়েছে, যা আয়তনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চেয়েও বড়।

এখানে ছবির মাধ্যমে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের কিছু ছবি দেওয়া হলো :

প্যালিসেডস নামের দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে লস অ্যাঞ্জেলেসের ম্যান্ডেভিল ক্যানিয়নের উপর থেকে হেলিকপ্টারে করে পানি ফেলা হচ্ছে।

দাবানল সৃষ্টির পেছনে কোনো কারসাজি রয়েছে কিনা, তা তদন্তে কাজ করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।

 লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খোলা হয়েছে ত্রাণ কেন্দ্র ।

দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করাসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিষ্কারে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা।

প্যাসিফিক প্যালিসেডসে নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপে কিছু পাওয়া আশায় এক বাসিন্দা।

ক্যালিফোর্নিয়ার ইনসিনো হিলস এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে উড়োজাহাজ থেকে রাসায়নিক দ্রব্য ছিটানো হচ্ছে।

বাতাসের কারণে এটন নামের দাবানলের ভয়ঙ্কর রূপ।

সান ফার্নান্দো ভ্যালির ইনসিনো থেকে প্যালিসেডস দাবানলের ধোঁয়া দৃশ্যমান।

দাবানলের কারণে প্লাস্টিক, রাসায়নিক, জ্বালানি এবং ভবনের বিভিন্ন কাঠামো পুড়ে চারপাশে দূষিত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্র : সিএনএন, ডয়চে ভেলে, আল-জাজিরা।