ফটো গ্যালারি

ঘূর্ণিঝড় বরিসের আঘাত

পূর্ব ও মধ্য ইউরোপজুড়ে চলমান বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪;  আপডেট: ০০:০৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পূর্ব ও মধ্য ইউরোপজুড়ে চলমান বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

চেক রিপাবলিকে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার এক বাসিন্দা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

পূর্ব ও মধ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একযোগে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। গত শনিবার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বরিস পূর্ব ও মধ্য ইউরোপের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকায় শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির প্রভাবে সৃষ্ট চলমান বন্যায় আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ওইসব এলাকায় ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

অস্ট্রিয়া, দ্য চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং স্লোভানিয়ায় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও চলমান বন্যায় হাজার হাজার মানুষ নিজ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চেক রিপাবলিকান ও পোল্যান্ড সীমান্ত এলাকা। এই এলাকার বিভিন্ন শহরে বন্যার পানিতে অনেক সেতু ও ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রোমানিয়ার বন্যা কবলিত ২ হাজার ২০০টিরও বেশি বাড়ি এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে চেক রিপাবলিক ও পোল্যান্ডের হাজার হাজার ঘরবাড়িতে। চেক রিপাবলিকের বিভিন্ন এলাকা থেকে এরইমধ্যে প্রায় ১৫ হাজারের মতো বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

হাঙ্গেরি ও ক্রোয়েশিয়াতেও দানিয়ুব নদীর পানি বিপদজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবার দানিয়ুব নদীর পানি রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্যাকবলিত কিছু এলাকার চিত্র এখানে তুলে ধরা হলো :

চেক রিপাবলিকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে এক বৃদ্ধ নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

পোল্যান্ডের একটি এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা পরবর্তী সড়কের বেহাল দশা।

রোমানিয়ায় প্রচন্ড পানির স্রোত থেকে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করছে স্থানীয়রা।

চেক রিপাবলিকে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় তলিয়ে গেছে সড়ক।

হাঙ্গেরিতে দানিয়ুব নদীর তীর রক্ষায় বালুর ব্যাগ ফেলছে দেশের সেনাবাহিনী।

চেক রিপাবলিকের একটি শহরে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যেতে দেখা যায়।

 অস্ট্রিয়ায় প্রচণ্ড বন্যায় বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাঁধ রক্ষায় ঘটনাস্থলে যাচ্ছে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা।

সূত্র : রয়টার্স।