গ্রিসের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান সান্তুরিনিতে ভূকম্পন
সতর্কতা জারি
প্রকাশিত: ০০:০৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০১:৪৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ভূমকম্পনের কারণে আগাম সতর্কতা হিসেবে বাসিন্দাদের চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণারোপ করে কর্তৃপক্ষ।
গ্রিসের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ নগরী সান্তুরিনিতে সম্প্রতি ২০০ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এ অবস্থায় আজ সোমবার ওই এলাকার সব বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করাসহ ভবনের অভ্যন্তরে বড় ধরনের জমায়েত না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। গতকাল রবিবার এসব নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার থেকে গতকাল রবিবার পর্যন্ত সান্তুরিনি ও আমোর্গোসে মোট ২০০ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটি ছিলো ৪ দশমিক ৬ মাত্রার কম্পন। এ পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলো বলে জানায় কর্তৃপক্ষ ।
এ অবস্থায় ফিরা নামের প্রাচীন একটি বন্দরসহ বেশ কয়েকটি বন্দরও খালি করা নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, আজ পার্শ্ববর্তী এজেয়ান দ্বীপের অ্যানাফি, আইয়োস এবং আমোর্গোসের সব বিদ্যালয় বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এসব ভূকম্পনের ঝুঁকি নির্ণয়ে গঠিত কমিটি গতকাল একটি বৈঠক করে। আজও এ সংক্রান্ত আরেকটি বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছে।
ইউরোপের সবচেয়ে সক্রিয় ভূগর্ভস্থ আগ্নেয়গিরি হেলেনিকের উপরে সান্তুুরিনির অবস্থান। গত ৪ লাখ বছরে এ আগ্নেয়গিরি থেকে ১০০ এরও বেশি বার অগ্নুৎপাত হয়েছে।
তবে, বর্তমান এ কম্পনগুলো টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ার কারণে সংঘটিত এবং আপাতত অগ্নুৎপাতের কোনো ঝুঁকি নেই বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। এছাড়া, ২০১১ এবং ২০১২ সালে এ ধরনের ভূকম্পন ক্রমাগত বাড়লেও এর ফলে অগ্নুৎপাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যায়।
সর্বশেষ, ১৯৫৬ সালের ৯ জুলাই সান্তুরিনিতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। সে সময় সংঘটিত এ ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ২৫ মিটার উচ্চতার সুনামি হয়।
একইসঙ্গে, এতে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত ও ১০০ এরও বেশি আহত হয়। এছাড়া, ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দ্বীপের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বাড়ি ধসে পড়ে।
উল্লেখ্য, সান্তুরিনিতে ভূকম্পন নতুন কোনো ঘটনা নয়। তা সত্ত্বেও প্রতি বছর এ দ্বীপটিতে প্রায় ৩৪ লাখের মতো পর্যটকের সমাগম হয়।
এদিকে, সান্তুরিনির মোট বাসিন্দার সংখ্যা মাত্র ২০ হাজারের মতো।
সূত্র : সিএনএন।