ফ্রান্সের পর এবার মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিদোর আঘাত
নিহত ৩৪
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২১:২৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪; আপডেট: ০১:৫৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় চিদোর আঘাতে মোজাম্বিকের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২৩ হাজার ৬০০ এর মতো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে এবার আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় চিদো। শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে দেশটিতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে ফ্রান্সের দ্বীপ মায়োতিতে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়টি।
ঘূর্ণিঝড় চিদোর আঘাতে মোজাম্বিকে আরও প্রায় ৩০০ এরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ২৩ হাজার ৬০০ এর মতো ঘরবাড়ি ও ১৭০টি মাছ ধরার নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির জাতীয় ঝুঁকি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এসব তথ্য জানিয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত মোজাম্বিকের ১ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি বাসিন্দা ঘূর্ণিঝড়টির কারণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সংস্থাটির তরফ থেকে জানানো হয়।
গত রবিবার মোজাম্বিকের কাবো দেলগাদো প্রদেশে প্রথম আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় চিদো। এতে ওই এলাকায় ২৮ জন নিহত হয়। পরবর্তীতে, ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে দেশটির নামপুলা ও নিয়াসসা প্রদেশে নিহত হয় আরও ৬ জন।
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।
এদিকে, ফ্রান্সের মায়োতিতে আজ কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় রাত দশটায় এটি কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে বলে জানানো হয়েছে। মূলত, লুটপাট প্রতিরোধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
এদিকে, মায়োতিতে যদিও এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২১; কিন্তু, এ সংখ্যা কয়েক’শ, এমনকি হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকর্মীরা সতর্ক করেছেন। এর আগে, দ্বীপটিতে ঘূর্ণিঝড় চিদোর তাণ্ডবকে পারমাণবিক যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছিলো কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে মায়োতি হচ্ছে বেশ কয়েকটি দ্বীপের মধ্যে একটি, যেটি ফ্রান্সের অংশ ও প্যারিসের অধীনে পরিচালিত হয়।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।