অন্যান্য

ধোঁয়াশায় ছেয়ে গেছে ভারত ও পাকিস্তানের উত্তরাংশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১৫ নভেম্বর ২০২৪;  আপডেট: ১২:২৫, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ধোঁয়াশায় ছেয়ে গেছে ভারত ও পাকিস্তানের উত্তরাংশ

দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ করতে বাধ্য হয় লাহোর কর্তৃপক্ষ।

ভারত ও পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল বিষাক্ত ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। এসব অঞ্চলে দূষণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ধোঁয়ার কারণে আকাশে কুয়াশার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে একে ধোঁয়াশাও বলা হয়ে থাকে।

ভারতে এ ধোঁয়াশা এতোটাই ঘন ছিলো যে এর কারণে বাতিল করতে হয় উড়োজাহাজের অনেক ফ্লাইট। অন্যদিকে, ধোঁয়াশার কারণে গতকাল পাকিস্তানের লাহোর ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান নির্ধারণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচকে এ তথ্য উঠে আসে।

এদিকে, গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির দূষণের মাত্রা ছিলো ‘চরম’ পর্যায়ে। দেশটির প্রধান পরিবেশ সংক্রান্ত পর্যালোচনা সংস্থা সফর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ দূষণ সংক্রান্ত প্যানেল অনুযায়ী বাতাসের মান সূচকে বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লির স্কোর ছিলো ৪৩০। এ স্কোর ৪০০ এর উপরে থাকলেই একে ‘চরম’ অবস্থা বলে ধরে নেওয়া হয়।

এদিকে, পাকিস্তানের লাহোর গতকাল পর্যন্তও ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরী। মূলত, ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মতো কৃষিপ্রধান রাজ্যগুলোতে অবৈধভাবে আগুনে বিভিন্ন জিনিস পোঁড়ানোর ফলে এ ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এর প্রভাব সীমান্তবর্তী লাহোরে গিয়ে পড়ে।

এর আগে, গত বুধবারই পাকিস্তানের লাহোর ও মুলতান ছিলো বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষিত দুটি শহর। এর মাত্র দু’দিন আগেই এ অঞ্চলের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শিশু মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ইউনিসেফ থেকে সতর্ক করা হয়।

বিপর্যয়কর এ পরিস্থিতিতে লাহোরে বিদ্যালয়গুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে, সাধারণের চলাচল সীমিত করাসহ ফুসফুসের সমস্যা সংক্রান্তদের জন্য অস্থায়ী ক্লিনিকেরও ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া, অপ্রয়োজনে বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হতে এবং বের হলে মাস্ক পড়ার আহ্বান জানানো হয়।

ঘন ধোঁয়াশার কারণে উড়োজাহাজের অনেক ফ্লাইট বাতিল করেছে নয়া দিল্লি।

এদিকে, নয়া দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা কমাতে সরকারের তরফ থেকে ট্রাকে করে পানি ছিটাতে দেখা যায়। এছাড়াও, দূষণ কমাতে চলতি মাসের শুরুতে ছোট তিনটি ড্রোন ব্যবহার করে কুয়াশার মতো করে পানি ছিটানোর পদ্ধতি চালু করে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, শীতকাল আসার এ সময়টিতে ভারতের উত্তরাংশে প্রায় প্রতি বছরই এ সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে, ঋতুভিত্তিক ফসল পোড়ানো, বাতাসের নিম্নচাপ এবং তাপমাত্রা কমে যাওয়াই মূল কারণ। এছাড়া, আর্দ্রতা, যানবাহন ও কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়াও বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে।