টাইফুন ইয়াগির প্রভাব
মিয়ানমারে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৭৪
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২১:০৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
উদ্ধারকারী নৌকার জন্য অপেক্ষা মিয়ানমারের বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের। ছবি: সিএনএন।
মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে এ পর্যন্ত ৭৪ জন নিহত হয়েছে। টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছে আরো অনেকে। আজ রবিবার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গণমাধ্যম মিয়ানমার নিউজ এজেন্সি (এমএনএ) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মিয়ানমারে সৃষ্ট এ বন্যায় ৪৫০টিরও বেশি গ্রাম তলিয়ে গেছে বলে এমএনএ জানায়। এতে প্রায় ৬৫ হাজারের মতো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৮৯ জন। তাদের খোঁজে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে ওই গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া, বন্যায় আটকে পড়াদের নৌকা ও ভেলায় করে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টির কারণে গত সোমবার থেকে মিয়ানমারে ব্যাপক এলাকাজুড়ে বন্যা দেখা দেয়। একইসঙ্গে, প্রচণ্ড বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমধসের ঘটনা ঘটে। দুর্যোগপূর্ণ এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে প্রভাব ফেলা টাইফুন ইয়াগি এ পর্যন্ত চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। প্রথমে এটি চীনের দক্ষিণাংশে আঘাত হানে। এতে ওই অঞ্চলে অনেকে নিহত হওয়াসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পরবর্তীতে, ভিয়েতনামে আঘাত করে ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে সৃষ্ট ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় দেশটিতে এ পর্যন্ত ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের সরকারি দুর্যোগবিষয়ক সংস্থা এ তথ্য জানায়।
অন্যদিকে, টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাতে থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৯ জন। এর মধ্য দিয়ে গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতে মোট ৩৩ জন নিহত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র : সিএনএন ও রয়টার্স।