ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাত
নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৭
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ০০:২০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ভিয়েতনামের উত্তরাংশে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়।
ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখনও পর্যন্ত আরও প্রায় ৬৪ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গত শনিবার আঘাত হানা এ সুপার টাইফুনের প্রভাবে এখনও দেশটিতে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। দেখা দিয়েছে ভূমিধস ও বন্যা ।
ভিয়েতনামে গত ৩০ বছরের মধ্যে সংঘটিত সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড় দেশটির উত্তরাংশজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে সেতু, বাড়ির ছাদ, কল-কারখানাসহ নানা স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। একইসঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধস। এর প্রভাবে ওই এলাকার ১৫ লাখ মানুষ বর্তমানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
ভিয়েতনামের উত্তরের কিছু প্রদেশে বন্যার কারণে মানুষকে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আজ মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা কবলিত এলাকায় অনেককেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন করতে দেখা গেছে।
ওই অঞ্চলের এক বাসিন্দা এ ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেন যে তিনি নদীতে এতো উঁচু ঢেউ এর আগে কখনো দেখেনি। ফান থি টুয়েট নামের ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘আমি সব হারিয়েছি, সব শেষ হয়ে গেছে। জীবন বাঁচাতে আমাকে অনেক উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে হয়েছে। আমরা সাথে কোনো আসবাবপত্র নিয়ে আসতে পারেনি। এখন সব কিছুই পানির নিচে তলিয়ে গেছে।’
এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ এ পরিস্থিতিতে এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৬৪ জনের মতো মানুষ। এছাড়া, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭৫২ জন। মঙ্গলবার ভিয়েতনামের কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ অবস্থায় উত্তরের ১৮টি প্রদেশের ৪০১টি এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, বর্তমানে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু, পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হতে থাকা অবস্থাতেই এর প্রভাবে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও ফিলিপাইনে প্রথম আঘাত করে সুপার টাইফুন ইয়াগি। এতে ওই অঞ্চলে ২৪ জনের মৃত্যু হয়।
সূত্র : বিবিসি।