উগান্ডায় ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৩:০৯, ১১ আগস্ট ২০২৪; আপডেট: ২৩:১৭, ১১ আগস্ট ২০২৪
মাটির নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে পুলিশ।
উগান্ডায় সংঘটিত ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ রবিবার দেশটির পুলিশের তরফ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় গত বৃহস্পতিবার ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপ ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় জীবিতদের উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলমান রয়েছে।
কাম্পালার কিটেজ্জি নামক এলাকায় টানা বৃষ্টিতে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এটিই ওই এলাকার একমাত্র ময়লার ভাগাড়। এ ঘটনায় মানুষসহ গবাদি পশু ও ঘরবাড়িও মাটির নিচে চাপা পড়ে।
এর আগে গতকাল শনিবার পুলিশের তরফ থেকে ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। তবে, ধসে পড়া মাটির স্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালানোর পর আজ আরও ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে এখন মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র প্যাট্রিক অনইয়াঙ্গো এ বিষয়ে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা নিশ্চিত হবো মাটির নিচে আর কেউ চাপা পড়ে নেই, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাবো।’
এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি পশুসহ ১৪ জন মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ফলে, মাটির নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে সতর্ক করেন পুলিশের এই মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসাবে প্রায় এক হাজার মানুষ এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই আমরা সরকারের অন্যান্য দফতরসহ স্থানীয়দের নিয়ে তাদের কিভাবে সাহায্য করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এরইমধ্যে দুর্ঘটনায় ঘরবাড়ি হারানো ব্যক্তিদের অস্থায়ী তাবুতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে উগান্ডাভিত্তিক রেডক্রসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাম্পালার কিটেজ্জিকে বহু দশক ধরে দেশটির প্রধান ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। এর ফলে এটি একটি বিশালাকায় টিলায় রূপ নিয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দারা প্রায়ই এর ফলে সৃষ্ট পরিবেষ দূষণ ও আসন্ন বিপদ নিয়ে অভিযোগ করে আসছিলো।
কাম্পালার মেয়র ইরিয়াস লুকওয়াগো এ বিষয়ে গতকাল শনিবার বলেছিলেন যে ভাগাড়টি এর ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। দুর্ঘটনার পর তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি ভয়ানক বিপর্যয় এবং এমনটি হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছিলো।’
এর আগে, ২০১৭ সালে ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় এ ধরনের একটি বিশালাকায় ময়লা ভাগাড়ের স্তূপ ধসে কমপক্ষে ১১৫ জন নিহত হয়েছিলো। ২০১৮ সালে মোজাম্বিকে সংঘটিত একই ধরনের দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিলো কমপক্ষে ১৭ জন।
সূত্র : আল-জাজিরা।