চীনে কিন্ডারগার্টেনে ছুরি হামলায় নিহত ৬
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২২:৩২, ১০ জুলাই ২০২৩
ঘটনার পর পুলিশ জায়গাটি ঘিরে রাখে।
চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনে সংঘটিত ছুরি হামলার ঘটনায় তিন শিশুসহ মোট ৬ জন নিহত হয়েছে। আজ সোমবার দেশটির গুয়াংডঙ্গ প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে দুইজন শিক্ষক ও একজন অভিভাবকও ছিলেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার সাথে সাথেই হামলাকারীকে আটক করা হয়।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অভিভাবকেরা তাদের শিশুদের স্কুলে দিতে আসছিলেন। তবে ঘটনার প্রায় পর পরই সকাল ৮টায় হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। ২৫ বছর বয়সী ওই হামলাকারীর নাম উয়ু ইন লিয়ানজিয়াঙ্গ বলে জানা যায়।
হামলার ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও এর প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে হামলার এ ঘটনাটি চীনের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, চীনে আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ হলেও দেশটিতে প্রায়ই ছুরি হামলার ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
২০২১ সালের এপ্রিলেই দেশটির স্বায়ত্ত্বশাসিত গুয়াঙ্গজি ঝুয়াঙ্গ এলাকার বেইলিইউ শহরে এ ধরনের এক ছুরি হামলার ঘটনায় দুই শিশু নিহত হওয়াসহ আরও ১৬ জন আহত হয়।
২০১৮ সালের অক্টোবরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের কঙ্গকুইংয়ের একটি কিন্ডারগার্টেনে সংঘটিত ছুরি হামলার ঘটনায় ১৪ জন শিশু আহত হয়।
মূলত করোনা মহামারীর সময় সারা বিশ্বের মধ্যে চীনেই সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে সবচেয়ে কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়। এ অবস্থায় অনেকেই তাদের চাকরি হারায়। অনেকের মধ্যে হতাশা, বিষন্নতা, ক্রোধের জন্ম নেয়। এসব থেকেই সম্প্রতি এ ধরনের হামলার ঘটনা বেশি ঘটছে বলে ধারণা করা হয়।
এছাড়াও মানবিক সম্পর্ক নিয়ে জটিলতা, তরুণদের উপর পরিবারের অতিরিক্ত প্রত্যাশা, সমাজে ধনী-গরিব ব্যবধান তথা সমাজ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণে সৃষ্ট হতাশা মানুষকে এ ধরনের অপরাধের দিতে ঠেলে দিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি।