তানজানিয়ায় প্রাণঘাতী মারবার্গ সংক্রমণ শনাক্ত
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২২ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১২:১৩, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
২০১৪ সালে কেনিয়াতেও মারবার্গ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিলো। দেশটির রাজধানী নাইরোবিতে কোয়ারেন্টিনে থাকা এক রোগীর জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছেন এক স্বাস্থ্যকর্মী।
তানজানিয়ায় মারবার্গ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। গত সোমবার তিনি জানান, দেশটির উত্তরাঞ্চলের দূরবর্তী এক এলাকায় ওই রোগী শনাক্ত করা হয়।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার রাজধানী ডোডোমায় সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুসের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় সামিয়া সুলুহু হাসান এ তথ্য জানান।
মারবার্গ অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ এবং চিকিৎসা না নিলে এ রোগে মৃত্যুর হার ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এ রোগ প্রতিরোধী কোনো টিকা এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত হয়নি।
ইবোলার মতো মারবার্গেরও উৎস বাদুড়। বাদুড়ে খাওয়া ফল বা সরাসরি বাদুড়ের দেহ থেকে এটি ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে নির্গত কোনো তরলের (বডিলি ফ্লুইডস) সংস্পর্শে এলে অথবা জীবাণু ছড়িয়েছে - এমন কোনো স্থান বা বস্তু (যেমন : বিছানার চাদর) থেকেও সুস্থ ব্যক্তিদের দেহে এ জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে।
এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথা, ডায়রিয়া বা বমির মতো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চলতি মাসের ১৪ তারিখ প্রথম তানজানিয়ার কাগেরা অঞ্চলে মারবার্গ আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে। তবে, দেশটির স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা ওই খবরের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে।
তবে সোমবার প্রেসিডেন্ট সামিয়া জানান, অধিকতর নমুনা পরীক্ষার পর একজনের দেহে মারবার্গ সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে, তবে পরীক্ষিত আরও ২৫টি নমুনায় সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।
অবশ্য, কাগেরা অঞ্চলে মারবার্গ সংক্রমণের এটিই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগে ২০২৩ সালে সেখানে প্রথম এ জীবাণু সংক্রমণের ঘটনা ঘটে।
একমাস আগে কাগেরার সীমান্তবর্তী দেশ রুয়ান্ডা দেশটিতে মারবার্গ মহামারি নির্মূল হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছিলো। এ ঘোষণার মাত্র একমাস পরই কাগেরায় সংক্রমণের এ খবর মিললো।
রুয়ান্ডার সরকারি কর্মকর্তারা গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ও ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রথমদিকে শনাক্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তি বলেও তারা জানান।
তথ্যসূত্র : এপি।