`সমাজ বদলাতে হলে গভীর ও নান্দনিক সিনেমা দেখা জরুরি`
টক অব দ্য টাইম রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২১:২৯, ৭ মার্চ ২০২৪
চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ।
নারীদের বিদ্যমান অবস্থার আরো উন্নতি করতে হলে সমাজকে আরো বদলাতে হবে। আর সমাজ বদলের ক্ষেত্রে ভালো মানের চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
রাজধানীর হাটখোলায় সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় 'গুঞ্জন সাক্সেনা : দ্য কার্গিল গার্ল' চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী শেষে আলোচনা পর্বে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া অ্যান্ড মুভি ক্লাব এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
প্রদর্শনী শেষে মুক্ত আলোচনা পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. পারভীন হাসান বলেন, 'এমন অনুপ্রেরণামূলক সিনেমা বেশি বেশি দেখতে হবে। এমন সিনেমা দেখলে মেয়েরা বাধার কারণে হেরে না গিয়ে আরো বেশি চেষ্টার মাধ্যমে জীবনে সফল হতে উৎসাহ পাবে। জীবনে নানাভাবে বাধা আসবেই। কিন্তু, তাতে থেমে গেলে চলবে না। থেমে না থেকে বার বার এগিয়ে যেতে হবে। এজন্যে মেয়েদের বড় স্বপ্ন দেখতে হবে।'
উপাচার্য আরো বলেন, 'মেয়েদের স্বপ্ন পূরণে এবং জীবনে এগিয়ে চলার পথে অভিভাবকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে।'
জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন সজীব সরকার বলেন, 'নিছক বিনোদন কিংবা অবসর কাটানোর জন্যে হালকা ও সহজ-সরল সিনেমা দেখাই সাধারণ অভ্যাস। এতে দোষেরও কিছু নেই। কিন্তু, চিন্তা ও জীবনকে কেবল ওইখানেই সীমাবদ্ধ রাখা ঠিক নয়। চিন্তার গভীরতাসম্পন্ন সিনেমাও দেখতে হবে। ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্র সম্বন্ধে ক্রিটিক্যাল ভাবনা তৈরি করে এবং নান্দনিক - এমন সিনেমা বেশি দেখা উচিত। সাহিত্য পাঠের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।'
তিনি বলেন, 'সিনেমার অর্থ ভালো করে বুঝতে হলে এর ভাষা বোঝার ব্যাপারটিও গুরুত্বপূর্ণ।'
নারীর স্বপ্ন পূরণে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন একই বিভাগের প্রভাষক ও ক্লাব মডারেটর হাসিনুস সাবাহ্।
নিজেদের জীবনের নানা প্রতিকূলতার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা আফরোজ বানী এবং মাহবুবা আক্তার। এ সময় তারা বলেন, এ ধরনের চলচ্চিত্র জীবনের কঠিন সময়ে উৎসাহ আর সাহস যোগায়। একই মন্তব্য করেন ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তোরা মনি মাসতুরা।
প্রদর্শনীতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ, অধ্যাপক ড. মালেকা বেগম, ড. ফজিলা বানু লিলি এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।