গবেষণায় মানুষকে সরাসরি যুক্ত করা জরুরি : ড. অনিন্দিতা ঘোষাল
টক অব দ্য টাইম রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১৬:৩৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
ড. ঘোষাল নিজের গবেষণার অভিজ্ঞতার আলোকে নারী উদ্ধাস্তু বা শরণার্থীদের না বলা কথা বা তাদের প্রকৃত অবস্থা তুলে আনার বিষয়টির ওপর জোর দেন।
'সামাজিক গবেষণায় মানুষকে সরাসরি যুক্ত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের জন্য কেবল নথিপত্রের ওপর নির্ভর না করে মানুষের কাছে যেতে হবে এবং তাদের কাছ থেকেই তথ্য তুলে আনতে হবে। এজন্য ওরাল হিস্ট্রি এবং ওরাল ন্যারেটিভ - দুটোই খুব জরুরি। তবে, সময়ের সাথে সাথে মানুষের ভাবনা বা গল্পটা পাল্টে যায়। তাই তথ্য তুলে আনার সময় এ দিকটাও গবেষককে খেয়াল রাখতে হবে।'
সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটিতে আজ বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে এ কথা বলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার উইমেন্স ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিন্দিতা ঘোষাল। 'আনহার্ড অ্যান্ড আনটোল্ড স্টোরিস : রিকভারি অব দ্য হিস্ট্রি অব উইমেন রিফিউজিস অ্যান্ড দেয়ার মুভমেন্টস' শীর্ষক এ সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন তিনি।
ইতিহাসের এ শিক্ষক ও গবেষক উদ্বাস্তু নারীদের অবস্থা নিয়ে পরিচালিত গবেষণার তথ্য তুলে ধরে গবেষণার গুরুত্ব ও পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা করেন। ড. ঘোষাল নিজের গবেষণার অভিজ্ঞতার আলোকে নারী উদ্ধাস্তু বা শরণার্থীদের না বলা কথা বা তাদের প্রকৃত অবস্থা তুলে আনার বিষয়টির ওপর জোর দেন। প্রকৃত তথ্য তুলে আনার ক্ষেত্রে গবেষকদের কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে হয়, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন কাজী জাহেদুল হাসান, রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার বিভাগের চেয়ারপারসন আব্দুস সেলিম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মোছা. শাহনাজ পারভীন, স্যোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফজিলা বানু লিলি, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন সজীব সরকার এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথি ড. অনিন্দিতা ঘোষালকে উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে তার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক উপহার তুলে দেন উপাচার্য ড. পারভীন হাসান।