ভারসাম্যপূর্ণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩:২১, ৬ এপ্রিল ২০২৪; আপডেট: ২৩:২৬, ৬ এপ্রিল ২০২৪
চার ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকের পর ভারমাম্যপূর্ণ অর্থনীতি বিষয়ে একমত হয় চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। দেশজ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের তরফ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ও আজ শনিবার এ বিষয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন মার্কিন রাজস্ব সচিব জেনেট ইয়েলেন ও চীনা ভাইস প্রেসিডেন্ট হী লিফেং। এর পরেই এ খাতে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে ঘোষণা দেয় দেশ দুটি।
এ বিষয়ে ইয়েলেন বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভারসাম্যহীনতা বিষয়ক আলোচনা গতি পাবে। কারণ, এক্ষেত্রে চীনের অতিসক্ষমতাকে আমরা আমাদের দেশের কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে কাজে লাগাতে পারি।’
চীনা ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকেই ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে চীনের অতিসক্ষতা বিষয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইয়েলেন।
কারণ, বেশি পরিমাণে কম দামী এসব পণ্য উৎপাদন করা হলে একসময় তা উদ্বৃত্ত্ব থাকবে। আর এটি অন্যান্য দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে হুমকীর মুখে ফেলবে বলে তিনি উদ্বেগ জানান।
ইয়েলেন বলেন, ‘এ ধরনের সস্তা পণ্য প্রচুর পরিমাণে তৈরি করার ফলে তা ব্যাপকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের কারখানাগুলোও এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকতে পারছেনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাতারাতি এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। কিন্তু, এটি যে এখন একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, সে ব্যাপারে চীনের অবগত থাকা প্রয়োজন।’
তবে চীনের অতিসমক্ষতা বিষয়ক মার্কিন এ মন্তব্য বিষয়ে পাল্টা অবস্থান নিয়েছে চীন। তাদের মতে, মার্কিন আত্মরক্ষার চিরাচরিত যে কৌশল বা নীতি, এটি তারই একটি অংশ।
তবে চলতি বছর মার্কিন রাজস্ব সচিবের এটি দ্বিতীয় চীন সফর। নানা বিষয় নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে অব্যাহতভাবে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ অবস্থায় বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল করাই ছিলো মার্কিন এ কর্মকর্তার চীন সফরের মূল উদ্দেশ্য।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।