মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে এবং দেশে একটি গতিশীল ও প্রাণবন্ত গণমাধ্যম দেখতে চায়।

আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের ২০ পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, সরকার দেশে গতিশীল গণমাধ্যম দেখতে চায়। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবটুকু করা হবে। একইসাথে সরকার দেশে মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকরা সাংবাদিকদের জন্য যেসব কালাকানুন আছে সেগুলো বাতিল বা সংশোধন করার প্রস্তাব করেন।

সরকারের পক্ষ থেকে মিডিয়ার ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই উল্লেখ করে আবুল কালাম মজুমদার বলেন, একটি প্রাণবন্ত ও মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য মিডিয়া কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই কমিশন আমাদের দেশে মিডিয়া কীভাবে চলবে তা ঠিক করবে। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কেউ যেন বিপত্তির মুখে না পড়েন, বাধার সম্মুখীন না হন- তা নিশ্চিতে এই কমিশন গঠনের প্রস্তাব এসেছে। সরকার এই কমিশন গঠনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

তিনি বলেন, বৈঠকে সম্পাদকরা সংবিধান সংস্কার এবং আইন কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সংস্কার নিয়েও কথা বলেছেন।

সভায় দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দ্য নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক এনাম আহমেদ, কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক আবুল মোমেন, দৈনিক সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস।