স্বদেশ

তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্প

জনগণের জন্য সবচেয়ে লাভজনক প্রস্তাব গ্রহণ করবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:৪২, ২৫ জুন ২০২৪;  আপডেট: ২২:৫১, ২৫ জুন ২০২৪

জনগণের জন্য সবচেয়ে লাভজনক প্রস্তাব গ্রহণ করবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশ ও জনগণের জন্য সবচেয়ে লাভজনক প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার গণভবনে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দ্বিপাক্ষিক ভারত সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তিস্তা প্রকল্প নিয়েছি। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীন ও ভারত আলাদা আলাদা প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের দেশের জনগণের জন্য কোন প্রস্তাবটি অধিক লাভজনক ও উপযোগী হবে সেটাই আমরা গ্রহণ করবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আমরা বিবেচনা করবো, কোন প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে তা আমার দেশের মানুষের কল্যাণে আসবে, সেটাই আমি গ্রহণ করবো। কোন প্রস্তাবটা নিলে কতটুকু ঋণ নিলাম এবং কতটুকু আমাদের পরিশোধ করতে হবে, কতটুকু দিতে পারবো-এসব কিছু বিবেচনা করেই তো আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে।’

তবে, ভারতের কাছে বাংলাদেশের তিস্তার পানির দাবিটা অনেক দিনের। ফলে, এ দেশটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে সব সমস্যারই সামাধান সম্ভব বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই ভারত যখন এগিয়ে এসেছে আমরা এটাই মনে করি যে ভারতের সঙ্গে যদি আমরা এই তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করি তাহলে আমার দেশের পানি নিয়ে প্রতিদিন সমস্যায় পড়তে হবে না। আমরা সেই সুবিধাটা পাব।

ভারতের সঙ্গে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে।' ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হবে। তবে, চুক্তিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নবায়ন করা না হলেও তা অব্যাহত থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

এদিকে, তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তি উত্থাপন সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। কেননা এটা তাদের (ভারত) অভ্যন্তরীণ বিষয়।'

তবে, সাম্প্রতিক এ দুটি ভারত সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উন্নত করবে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২১ ও ২২ জুন নয়াদিল্লি সফর করেন। এর আগে তিনি গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস।