কক্সবাজার উপকূল দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’
সেন্টমার্টিন দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি
স্বদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ১৪ মে ২০২৩; আপডেট: ২১:৩৬, ২২ মে ২০২৩

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায়।
কক্সবাজার উপকূল দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিক্রম করে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে ।
এ সময় বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফে ঘূর্র্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের একটি অংশ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উপর দিয়ে যাওয়ার কারণে এখানকার আধা-পাকা ঘরসহ অনেক গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিট্টুয়েতে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে আজ সন্ধ্যা ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ অবস্থায় এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করায় বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে উপকূলীয় এলাকায় সাগর এখনও উত্তাল রয়েছে এবং বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আজ রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান। ধীরে ধীরে এ বৃষ্টিপাত কমে গেলেও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র : বাসস, প্রথম আলো।