জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় ১৯৬ কোটি ডলার
প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১:৪৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১১:১৯, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। ছবি : ইন্টারনেট।
বাংলাদেশে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার । বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রবাসী আয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিলো ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
গত বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিলো ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। গত বছরের জুলাই ও আগস্টের প্রতি মাসে এর পরিমাণ ছিলো ২০০ কোটি ডলারের বেশি। তখন ব্যাংকগুলো ১২০ টাকা দরেও প্রবাসী আয় কিনেছিল।
মূলত ডলার সংকটের কারণে অনেক আমদানি দায়ের পরিশোধ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কেনা হচ্ছে বলে ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান। এটি প্রবাসী আয় বাড়ার কারণ বলে জানা গেছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে বেসরকারি খাতের আমদানি, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলোর সংগঠন এবিবি এবং বৈদেশিক মুদ্রার ডিলারদের সংগঠন বাফেদা। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে এখন প্রতি ডলারের বিপরীতে মিলছে ১০৭ টাকা। আর আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড়ের চেয়ে ৫০ পয়সা বেশি।
বর্তমানে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১০৭ টাকা আর রপ্তানি আয়ে দাম ১০২ টাকা। সেই হিসাবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় দাঁড়ায় ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা। এ গড়ের সঙ্গে ৫০ পয়সা যোগ করে ১০৫ টাকা হবে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে ১০২ টাকা দামে।
ডলার সংকট কাটাতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন রিজার্ভ কমে হয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
সূত্র : প্রথম আলো।